নিউজ ডেস্ক:ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে মহেশপুর থানার এএসআই আনিছুর রহমান আনিচ ও তার সোর্স মোস্তাফিজুর রহমান ফেঁসে গেছেন। নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর দায়ে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে ক্লোজ হয়েছেন এএসআই আনিচ। আর সোর্স মহেশপুরের পুরন্দরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয়েছে শ্রীঘরে। গতকাল শনিবার সকালে মহেশপুর প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন এই তথ্য জানান স্থানীয় তুষার সিরামিকের কর্মচারী সাড়াতলা গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সোহেল রানা ও পুরন্দপুর গ্রামের ওয়াজ্জেদ আলী খানের ছেলে মতিয়ার রহমান খান রাজন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গত ২০ মে রাত সাড়ে ৮টার সময় অফিস থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হয়ে তারা এনএন ফিলিং স্টেশনে পৌছালে মহেশপুর থানার এএসআই আনিচের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদেরকে আটক করে বলেন, তাদের মোটরসাইকেলে ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। পুলিশ মোটরসাইকেলের ২ জায়গা থেকে কথিত ইয়াবা ও গাঁজা বের করে। এ সময় রানা ও রাজন পুলিশকে চ্যালেন্স করে। নিরাপরাধ দুই যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতে পেরে রাতেই কথিত সোর্স মোস্তাফিজুর রহমানকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোর্স পরিচয়দানকারী মোস্তাফিজুর হাতের মধ্যে গাঁজা ও ইয়াবা রেখে রানা ও রাজনকে ফাঁসিয়ে দেয়। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এর থেকে বড় ধরনের অঘটন ঘটিয়ে তারে উপর দোষ চাপাতে পারে। উল্লেখ্য, সোর্স নামধারী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ওইদিনই মহেশপুর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ লাইনে ক্লাজ হওয়া এএসআই আনিচ সাংবাদিকদের জানান, সোর্স অপকৌশল খাটিয়ে গাঁজা ও মাদক দেবার কারণে উল্টো তার বিরুদ্ধেই মাদক আইনে মামলা হয়েছে।