গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বোয়িং এর স্টারলাইনার ক্যাপসুল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ফিরে এসেছে। দুইজন নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও আমেরিকান বুচ উইলমোরকে রেখেই খালি কেবিন নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে বোয়িং স্টারলাইনার।
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দুই নভোচারী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর সরাসরি সম্প্রচার করেছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
মহাকাশে কেমন দিন কাটছে? যে যানে চড়ে গিয়েছিলেন, তা ফেরত পাঠানোর সময় কেমন অনুভূতি হল? এমন নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন সুনীতারা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বুচ বলেন, ‘‘আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে এসেছি। আমরা মহাকাশযানের পাইলট। তাই সেই যানকে খালি অবস্থায় ফেরত চলে যেতে দেখা আমাদের জন্য বেশ কঠিন। কিন্তু জীবন এমনই। ’’
সুনীতা বলেন, ‘‘আমরা যে পেশার সঙ্গে যুক্ত, তা এমনই অনিশ্চিত। আমরা আগেই আন্দাজ করেছিলাম, আমাদের পৃথিবীতে ফেরা কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমরা ভালো আছি। এটাই আমাদের সবচেয়ে আনন্দের জায়গা। আমি মহাকাশে থাকতেই ভালবাসি। ’’
মহাকাশযান বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে গত ৫ জুন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ওই দুই নভোচারীর পাড়ি দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে। যদিও শুরুতে কথা ছিল, দিন কয়েক পরেই ফিরছেন সুনীতারা। যদিও আচমকা মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। স্টারলাইনার ওড়ার আগেভাগেই রকেটে হিলিয়াম লিকেজের সমস্যা ধরা পড়েছিলো।
নাসার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তাদের ফেরাতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও সময় লেগে যেতে পারে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী বছরের শুরুতেই স্পেস এক্সের ক্রু ড্রাগনে পৃথিবীতে ফিরবেন তারা; এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
তবে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুনীতারা একা নন, আছেন মোট ১২ জন মহাকাশচারী। চলতি মাসে আরও দুইজনের মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার