নিউজ ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন উৎপাদনে রাশিয়ার প্রতি প্রতিষ্ঠিত নিয়ম মানার আহ্বান জানিয়েছে।
রাশিয়া খুব দ্রুত কোভিড- ১৯ এর ভ্যাকসিন উৎপাদনের ঘোষণা দেয়ার পর ডব্লিওএইচও মঙ্গলবার এ আহ্বান জানায়।
রাশিয়া সোমবার বলেছে, তারা সেপ্টেম্বর থেকে ভ্যাকসিনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করবে। চলতি বছর হাজার হাজার হলেও আগামী বছর নাগাদ তারা কয়েক লাখ ডোজ করে ভ্যাকসিন উৎপাদনে যাবে।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ডব্লিওএইচও জোর দিয়ে বলেছে, উৎপাদনের যাওয়ার আগে ভ্যাকসিন তৈরি করছে এমন সবগুলো দেশকেই পরীক্ষার সকল ধাপ পাড়ি দিতে হবে।
ডব্লিওএইচও’র মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডম্যারিয়ার জেনেভোয় সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত নিময় নীতি রয়েছে। যে কোন ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রার্থীকে আগে সব ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা অবশ্যই শেষ করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রার্থী ২৬টি দেশের তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৬টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ৩য় ধাপে রয়েছে।
কিন্তু রাশিয়ার গামালিয়া ইন্সস্টিটিউটের যে ভ্যাকসিনটি তারা সেপ্টেম্বরে উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে তা ডব্লিওএইচও’র তালিকায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
বিশ্বের আরো ১৩৯টি দেশ ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপে রয়েছে বলে ডব্লিওএইচও তালিকা থেকে জানা গেছে। এদিকে লিন্ডম্যারিয়ার আরো বলেন, রাশিয়া তার কোন ভ্যাকসিন সম্পর্কেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়নি।
তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর আমাদের ইউরোপীয় অফিসের কলিগরা অবশ্যই বিষয়টি দেখবে।
মুখপাত্র আরো বলেন, সাধারণ হিসেবে ভ্যাকসিন তৈরিতে বেশকিছু দিক নির্দেশনা, নিয়ম নীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, আর এসব মানার মধ্যদিয়ে ভ্যাকসিনটি কিসের বিরুদ্ধে কাজ করছে, কাকে এটি সাহায্য করতে পারে এবং এর কোন নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারি।