নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপি শওকত চৌধুরী বলেছেন, বাজেটে ব্যাংকের টাকা কাটার কথা বলায় ঢাকার ৯০ ভাগ লোক সরকারের বিপক্ষে চলে গেছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ফলে দেশের মানুষ বিপক্ষে চলে গেছে। কিন্তু মুখ দিয়ে কেউ বলে না।
তিনি বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম ডাবল। পরে কি হবে জানি না। ভরা মৌসুমে চালের দাম ডাবল হলো কেন? এটা সমস্যা, দেখা দরকার। চাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম কমানোর চেষ্টা করেন। ফাঁকা বুলি মাইরেন না। বহুত মারছেন। মিথ্য কথা বলবেন না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে বুধবার সংসদের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা তুলে ধরে শওকত চৌধুরী বলেন, ঢাকা শহরে ঘুরি, ব্যবসা-বাণিজ্য করে, দেখি আমরা। কোন জিনিসের দাম বাড়ে নাই এইটা বলেন। চালের ভরা মৌসুমেও দাম দ্বিগুণ। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিতে হবে।
তিনি সরকারি গুদামে চালের মজুদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, কী রকম মজুদ আছে? মজুদই যদি থাকে দাম ডাবল হবে কেন। আমার মনে হয় মজুদ নাই। আমার মনে হয়, মজুদও নাই, কিছু নাই, সব ফাঁকাবুলি। গত এক বছরে দেশে চালের দাম বেশ কয়েক দফায় বেড়েছে। এর মধ্যে সরকারি পর্যবেক্ষণেই এক বছরে মোটা চালের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৩২ শতাংশ বাড়তে দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন মফিজ নেই। আমাদের চাল ঢাকায় আসে। তারপর ঢাকার মানুষ কেনে। জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, ক্ষমতা অনেক পিচ্ছিল জিনিস। যেকোন সময় পিছলিয়ে যেতে পারে। বেশি আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন অবকাশ নেই। এই বাজেটের ফলে চালসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। রংপুর বিভাগকে বাজেটে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটা চরম বৈষম্য। অথচ রংপুর বিভাগেই ৩০টি আসনই সরকারের সম্ভাবনাময়।
তিনি বলেন, মন্ত্রীরা আশ্বাস দিলেও টাকা দেন না। এলাকার জনগণ মনে করে মন্ত্রীরা টাকা দিচ্ছেন, আমরা মেরে খাচ্ছি। এসব তামাশা করা ঠিক নয়। সংসদ তামাশার জায়গা নয়। মন্ত্রীদের মনে রাখতে হবে তাঁরাও এমপি, আমরাও এমপি। আমাদেরকে বিইজ্যত করার কোনো অধিকার কি তাদের আছে? আমরা বিইজ্যত হয়ে যাই জনগণের কাছে। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য অনুরোধ জানান সংসদে বিরোধী দলের এ সদস্য। শুধু মন্ত্রীরা নির্বাচনে পাস করলেই সরকার গঠন হবে না। জাতীয় পার্টি কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানি করেনি। তাই অবহেলা করবেন না।