ব্রাজিলে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স। শনিবার (১৭ আগস্ট) এক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সিদ্ধান্ত ‘অবিলম্বে’ কার্যকর করা হবে। তবে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরও দেশটিতে ব্যবহারকারীরা এক্সে প্রবেশ করতে পারছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে ব্রাজিলের অন্যতম শীর্ষ বিচারকের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের পর এক্স কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্ল্যাটফর্মটি যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল। এক্স কতৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আমরা গভীরভাবে দুঃখিত যে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। এর দায় শুধু ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েসের ওপর বর্তায়। ’
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে এক্সকে নির্দেশ দেন বিচারক আলেকজান্দ্রে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা সংবাদ ও ঘৃণামূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট ব্রাজিলের সাবেক উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকদের ছিল।
২০২২ সালের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বামপন্থি প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে হেরে যান বলসোনারো। এরপর বলসোনারো ব্রাজিলের নির্বাচনব্যবস্থায় ত্রুটি থাকার অভিযোগ তোলেন। বিশেষ করে বারাবার ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে জালিয়াতির ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করেন। এ সময় বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্টসহ ব্রাজিলের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভাঙচুর চালান।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের সুপিরিয়র ইলেকটোরাল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি বিচারক আলেকজান্দ্রে বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে আগ্রাসনের স্বাধীনতা নয়। স্বৈরশাসনকে রক্ষার স্বাধীনতা নয়। ’
পরবর্তীতে, এক্সের মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিচারক আলেকজান্দ্রে।