নিউজ ডেস্ক:
দেহের ওজন কমানো, সুগঠিত মাংসপেশি কিংবা সুস্বাস্থ্যের জন্য শুধু নিয়মিত ব্যায়াম করলেই হয় না, সেই সাথে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাওয়াদাওয়াও করতে হয়। ব্যায়ামের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়, তখন প্রয়োজন হয় খাবার ও পানি। আর সেসময় কেউ যদি ওজন কমানোর চিন্তায় ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া না করে কিংবা খুব বেশি খেয়ে ফেলে তবে এর ফল কখনই ভালো হয় না। ব্যায়ামের পুরাপুরি উপকার পেতে হলে সে অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে হবে খাদ্যভ্যাস। আসুন জেনে নেই ব্যায়ামের পর খাওয়াদাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে।
১. ব্যায়ামের আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যেই খাওয়াদাওয়া করুন
খুব ভারী ব্যায়াম করে ফেললে যত জলদি সম্ভব ক্ষতিপূরণ করতে কিছু খেয়ে নিন। ব্যায়ামের সময়ে অনেক পুষ্টি উপাদান ক্ষয় হয়, শরীরের ওপর অনেকটা চাপও পড়ে। এসব কারণে যা হারিয়েছেন, ব্যায়ামের পরে তা আবার পূরণ করে নেয়া জরুরী। ব্যায়ামের পর ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া না করলে শরীর ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে এবং একটা সময়ে আপনি ব্যায়ামের শক্তিই পাবেন না।
২. অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না
ব্যায়ামের উদ্দেশ্য যদি ওজন কমানো হয়, তবে ব্যায়ামের পর অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না। অনেকে ভাবেন এতক্ষণ ব্যায়ামের পর একটু বেশি তো খাওয়াই যায়। কিন্তু একটু বেশি খেতে খেতেই অনেক বেশি ক্যালোরি খাওয়া হয়ে যাবে, ওজন আর নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। মোটামুটি কত ক্যালোরি ক্ষয় করলেন এবং কত ক্যালোরির খাবার খাবেন তার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন। এ ছাড়াও ব্যায়ামের পরে খাওয়ার প্ল্যান থাকলে ব্যায়ামের আগে ভারী কিছু না খাওয়াই ভালো।
৩. যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন
আপনার যদি খুব বেশি ঘাম হয়ে থাকে, আবহাওয়া বেশি আর্দ্র হয়ে থাকে বা ৬০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ভারী ব্যায়াম করেন, তবে শুধু পানি নয়, কোনো একটি ভালো মানের স্পোর্টস ড্রিঙ্ক পান করা আপনার জন্য জরুরি। এর চাইতে কম সময় ধরে এবং কম কষ্টের ব্যায়াম করলে আপনার জন্য পানি পান করাই যথেষ্ট।
৪. খাওয়া শুরু করুন ‘আসল’ খাবার
খাবার থেকেই আসে আপনার জীবনীশক্তি। এ কারণে প্রাকৃতিক, টাটকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং এড়িয়ে চলুন প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড এবং রাসায়নিকযুক্ত খাবার। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেও থাকেন, তাহলেও এমন সুস্থ একটি খাদ্যভ্যাস আপনার জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৫. প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য খাবার খান
পেশি তৈরির মুল উপাদান হলো প্রোটিন, তাই ব্যায়ামের পর প্রোটিন খাওয়া জরুরী। কিন্তু প্রোটিন ছাড়াও খেতে হবে ভালো চর্বি যা পেশি এবং জয়েন্টের ক্ষতি সারিয়ে তোলে। এ ছাড়াও ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং স্টার্চ জাতীয় শর্করা যেমন মিষ্টি আলু অথবা শিম। পান করতে পারেন ফল, সবজি, শাক, আমন্ড বাটার বা ওট মেশানো স্মুদি। খেতে পারেন সবজি মেশানো ডিমভাজি।