লেবাননের বৈরুত ও ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর রকেট ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানার ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার পর বৈরুত ও গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বৈরুতের দক্ষিণাংশে হিজবুল্লাহর অস্ত্র গুদামগুলোতে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের সমুদ্রতীরবর্তী শহর সেসারিয়ায় নেতানিয়াহুর যে বাড়িটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে সাধারণত সেখানে ছুটি কাটান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। হামলার সময় নেতানিয়াহু ওই বাড়িতে ছিলেন না।
কিন্তু নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ‘মারাত্মক ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন।
গাজার চিকিৎসা কর্মীরা ও হামাসের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন পুরো ছিটমহলজুড়ে ইসরাইলি বোমা হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি বাহিনী তিনটি হাসপাতালের চারপাশে অবরোধও জোরদার করেছে।
বুধবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল যে এ ঘটনা হয়তো অঞ্চলটিকে একটি যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ইসরাইল ও তাদের শত্রু হামাস, হিজবুল্লাহর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারে সেই আশা মিলিয়ে গেছে।
শনিবার ইসরায়েলি বিমানগুলো গাজার দক্ষিণাঞ্চলে লিফটেল ফেলেছে। সেখানে সিনওয়ারের একটি ছবি ও ‘হামাস আর গাজা শাসন করবে না’ এই বার্তা লেখা ছিল।
শনিবার বৈরুতের দক্ষিণাংশের শহরতলীগুলোর কয়েকটি অংশে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। সন্ধ্যার দিকে নগরীর ওই অংশের আকাশে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলি ভেসে থাকতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, হিজবুল্লাহর একটি গোয়েন্দা সদরদপ্তরের কমান্ড সেন্টার ও কয়েকটি অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে। এর আগে ওই অঞ্চল থেকে লোকজনকে ৫০০ মিটার দূরে চলে যাওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।