চুয়াডাঙ্গায় জাফরপুরসহ পৃথক পৃথকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার পৃথকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাসহ পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারী আনুমানিক ৪০ বছর বয়স্ক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পৃথক এ সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা আবাসনের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৬০), মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার পুরাতন মাঠপাড়ার মৃত খেত আলীর ছেলে জামান (৪৫), একই এলাকার সেকেন্দারের ছেলে ইব্রাহীম (২৩), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের মাঠপাড়ার আশরাফ মন্ডলের ছেলে আজিজুল হাকিম (১৯), একই এলাকার আহাম্মদের ছেলে রতন (১৯), হোসেনের ছেলে সাজিদুল (১৮) এবং তালতলা হাজরাহাটি জোড়গাছাপাড়ার ইমতাজুলের ছেলে শিপন আলী (২৫)। আহতদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে ফযরের নামাজ পড়ে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হলে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের জাফরপুর মোড়ের গতিরোধকের সন্নিকটে সড়কের পাশে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। অজ্ঞাত নিহত নারীর ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, প্রায় ৪০ বছর বয়স্ক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারীকে কয়েকদিন ধরেই শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত। ধারণা করা হচ্ছে ওই রুটে চলাচলকারী কোন যানবাহন বা পরিবহনের ধাক্কায় ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা বঙ্গজ ফ্যাক্টরীর সন্নিকটে মোটরসাইকেল ও পাখিভ্যানের সংঘর্ষে আব্দুল জলিল, জামান ও ইব্রাহিম আহত হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একইদিনে, চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার বেলগাছী রেল গেইটের সন্নিকটে মোটরসাইকেল ও সাইকেলের সংঘর্ষে আজিজুল হাকিম, রতন, সাজিদুল ও শিপন আলী আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সাজিদুল ও রতন আলীকে জরুরী বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে আজিজুল হাকিম ও শিপন আলী গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ভর্তি রাখে।