নিউজ ডেস্ক:
নিরাপত্তা লাইন থেকে বোর্ডিং গেটে ব্যাগ দেয়ার বাইরেও বিমানবন্দরে অনেক কিছু করা আছে। যা বিমানবন্দরে সময়,অর্থ দুটাই বাঁচাবে। বিমানে ও বিমানের বাইরে বিশেষ ১০টি কাজ করলে আমাদের ঝামেলা কমে অথচ ভুলবশত আমরা তা করি না। এগুলো হলো-
বিমানসংস্থা ও বিমানবন্দরের অ্যাপ ডাউনলোড না করা
বিমানবন্দরে গিয়ে শুধু নয়, যাওয়ার আগেই এ অ্যাপ ডাউনলোড করা দরকার। বেশিরভাগ এয়ারলাইনের অ্যাপ আছে যা স্মার্টফোনে ডাউনলোড করা যায়। এর মাধ্যমে ফ্লাইট দেরি বা বাতিল হলে ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই আপনি জানতে পারবেন। বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল-ডিপারচার পর্দার চেয়ে এসব অ্যাপ তুলনামূলকভাবে বেশি আপডেট থাকে। বেশিরভাগ বিমানবন্দর ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে ম্যাপ, সেবাসমূহের তালিকা অ্যাপে যুক্ত করে থাকে।
অনলাইনে চেক ইন
অনলাইনে চেক ইন করলে অনেক ঝামেলা থেকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। দেখা যায় আপনি অকারণে লাইন দেখলেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অনলাইনে চেক ইন করা থাকলে বিমানবন্দরে ও বিমানের ভেতরে করণীয় সম্পর্কে দ্রুত জানতে পারবেন। সেক্ষেত্রে টিকেট কাউন্টারে আপনাকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। অনলাইনে দ্রুত চেক ইন করলে বিমানে পছন্দসই আসন বেছে নিতে পারবেন সহজে। জানতে পারবেন লাগেজ না থাকলে সোজা সিকিউরিটি লাইনে চলে গেলেই হলো। কাউন্টার লাইনে অকারণ সময় নষ্ট করা লাগে না।
ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) প্রিচেক
বছরে একাধিকবার ভ্রমণ করলে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) প্রিচেক করাটা আপনার জন্য ভালো। প্রিচেক লাইন সাধারণ যাত্রীদের লাইনের চেয়ে ছোট হয়। এতে আপনি দ্রুত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজ সারতে পারবেন। এতে সব কাজই দ্রুততার সঙ্গে করা হয়।
নিজের সঙ্গে খাবার রাখা
বিমানবন্দরে খাবারের দাম বেশি হলেও মান খুব কম সময়েই ভালো হয়। সুতরাং ঘর থেকেই কিছু খাবার সঙ্গে রাখতে পারেন। এতে ভ্রমণের ঝক্কিটাও কমবে। শুধু তরলজাতীয় খাবার ছাড়া প্রায় সব খাবারই বিমানবন্দরে নেয়া যায়। সময় বাঁচাতে টিএসএর সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে বিমানবন্দরে নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা পাওয়া যাবে।
সঠিক কাপড় পরা
শুধু নিজের আরামের জন্যই নয়, লাইনে দ্রুত এগিয়ে থাকার কথা মাথায় রেখে কাপড় পরা ভালো। জাঁকজমকপূর্ণ গহনা বা বেল্ট এড়িয়ে চলুন। পায়ের জুতাটাও সাধারণই থাকুক। পোশাক-আশাকে সাধারণ থাকলে দ্রুতই নিরাপত্তা চেকিং শেষ হবে।
গেটেই ব্যাগ চেকের সুবিধা নেয়া
গেটে ব্যাগ করার ব্যবস্থা থাকে। এতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় না। আপনি চাইলে এ সুবিধা নিতে পারেন। তবে যতসম্ভব ভ্রমণসময়কালে ব্যাগ ছোট রাখা উচিত। এটা ঝামেলা কমায়।
ভালো আচরণ করুন
বিমানবন্দনে নানা কারণে আপনার অন্যের সাহায্যের দরকার হতে পারে। তাই রুক্ষ আচরণ করবেন না। যতটুকু সম্ভব ভালো আচরণ করুন সবার সঙ্গে। রাগ বা বিরুক্তি দেখাবেন না। গেটে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকেই তাড়াহুড়ো করেন। আগে যেতে না পারলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ধৈর্য ধরুন এবং মুখে হাসি রাখুন। ভালো আচরণের মাধ্যমে আপনি বিমানবন্দরে এবং বিমানের ভেতরে বাড়তি সুবিধা পাবেন। সৌজন্যতার সঙ্গে চাইলে অনেক ক্ষেত্রে চাইলে পছন্দমতো সিটও বদলানো যায়।
বিমানবন্দরের লাউঞ্জের জন্য পাস কিনুন
অভিজাত শ্রেণির না হলে বিমানবন্দরে পদে পদে আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হবে। কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বনে করলে আপনাকে তা স্বস্তি এনে দেবে। আপনি চাইলে বিমানবন্দরের লাউঞ্জের জন্য পাস কিনতে পারবেন। এতে শান্তিতে বিশ্রাম করতে পারবেন। কোনো কোনো লাউঞ্জে ওয়াই ফাই সুবিধাও থাকে। এখানে ভালো খাবার এবং পানীয় পাওয়া যায়।
বিমানবন্দরের ওয়াইফাই ব্যবহারে সাবধান থাকা
বিমানবন্দরে ফ্রিতে ওয়াইফাই সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে ফ্রি মানেই নিরাপদ নয়। তাই এই ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রাদন করবেন না। এতে বিপদ ঘটতে পারে। ভ্রমণ থেকে ফিরে এসে হয়তো দেখবেন সামাজিক যোগাযোগের সাইটে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, ব্যাংকের অর্থ চুরি হয়েছে এবং ঘরে ডাকাতি হয়েছে।
নিজের লাগেজ চিহ্নিত করা
বিমানবন্দরে হাজার হাজার যাত্রী থাকে। তাদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আপনার লাগেজ মিলে যাওয়ার ঘটনাও কাকতালীয় হবে না। তাই রঙ্গিন কিছু দিয়ে নিজের ব্যাগ চিহ্নিত করে রাখুন। চাইলে যোগাযোগের ঠিকানাও লিখে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে হারিয়ে গেলেও লাগেজ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।