নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে ও কার্যালয় সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন আপিল আপিল বিভাগ।
রোববার সকালে ভবন ভাঙতে বিজিএমইএ-এর করা ৩ বছর সময়ের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত বিজিএমইএ-এর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘ভবন ভাঙতে এই দীর্ঘ সময় আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। আপনারা তো অনেক সম্পদশালী। অফিস হিসেবে আপনারা হোটেল সোনারগাঁও অথবা শেরাটন ভাড়া নিতে পারেন। এ ছাড়া সরকারের কাছে বলে গুলশানে দুটি বাড়ি নিয়ে অফিস বানাতে পারেন।
এরপর আদালত বিজিএমইএ ভাঙতে ও কার্যালয় সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেন।
আদালতে বিজিএমইএ-এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ৮ মার্চ বিজিএমইএ-এর বহুতল ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবন নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে ভবনটি বিজিএমইএ-এর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন।