নিউজ ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাষ্ট্রপতি যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন, একইভাবে বিএনপির প্রস্তাবিত ‘সহায়ক সরকার’ নিয়েও সংলাপ চেয়েছেন দলটির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদল এর আয়োজন করে।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা আশা করি, তিনি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়েও উদ্যোগ নেবেন। এটাকে তত্ত্বাবধায়ক বলেন আর সহায়ক বলেন, যে কোনো একটা হতেই পারে। যাদের রাজনৈতিক কোন অভিলাষ থাকবে না এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবেন।’
‘বিএনপি ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে’ জানিয়ে দলটির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘চলমান সংকটের সমাধান শান্তিপূর্ণ না হলে বিএনপির আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারই শেষ সরকার নয়। আজ না হয় আগামী বছর, আগামী বছর না হয় তার পরের বছর ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। কারণ গণতান্ত্রিক রাজনীতি পরিবর্তন হবেই।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, ‘তাদেরকে সেই নির্বাচন আর করতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এমন নির্বাচন করতে হবে যে গত বছরগুলোতে যে দুঃশাসন হয়েছে, এর বিরুদ্ধে জনগণ তাদের রায় দিতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনবো। হারানো মূল্যবোধ ফিরিয়ে দিয়ে নতুন মূল্যবোধ সৃষ্টি করবো।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিতে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিব বাদরু, যুগ্মসম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।