নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, মাঝে মধ্যে নির্বাচন করলেই কারো সাত খুন মাফ হয় না।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনকারী আগুনসন্ত্রাসী, জঙ্গি সমর্থনকারী এবং যুদ্ধাপরাধী-রাজাকাররা সবাই খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্বে এখনো সক্রিয়। তারা এখনো তাদের অতীত রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেনি। তারা মাঝে মধ্যে নির্বাচন করলেও একদিকে মানুষ পোড়ানোর জন্য মাপ চায়নি, জঙ্গিদের রক্ষা ও জঙ্গিদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করেনি, যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের সঙ্গ ত্যাগ করেনি এবং জামায়াতের সঙ্গ ছাড়েনি, অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের নামে অসাংবিধানিক সরকার গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছে। সুতরাং খালেদা-বিএনপির এ রাজনৈতিক অবস্থান জনগণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপদজনক ও হুমকি স্বরূপ।বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে শুরু হওয়া জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং খালেদা-বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গির বিপদজনক হুমকি মোকাবেলায় এ মুহূর্তে- ১.সংবিধানের ধারায় যথাসময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা; ২. জঙ্গিবাদ সমূলে নির্মূল ও ধ্বংস করা; ৩. উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা; ৪. জঙ্গিসঙ্গী এবং আগুনসন্ত্রাসী খালেদাসহ দায়ী সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।
বক্তব্য দেন ড. আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, নাদের চৌধুরী, আব্দুল হাই তালুকদার, সফি উদ্দিন মোল্লা, নইমুল আহসান জুয়েল, অ্যাডভোকেট সাদেক হোসেন, জায়েদুল কবির, মোহর আলী চৌধুরী, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, আব্দুল হাই মাহবুব, জিয়াউল হক মুক্তা, উম্মে হাসান ঝলমল, বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম নুরু, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, আবুল খায়ের সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
সভার শুরুতে গত কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভা হতে এই পর্যন্ত দলীয় নেতৃবৃন্দ ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রয়াত ব্যক্তিবর্গের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।