দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার মানুষেরা বন্যার কবলে পড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে রয়েছে। এবার পঞ্চগড়ের বিশুদ্ধ পানি বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ ও সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম নামের একটি সংগঠন। পঞ্চগড়ের পানি দেশের সবচেয়ে বিষুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর পানি।
পঞ্চগড়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ ও সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের কর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে বন্যাকবলিত এলাকায় দু:স্থ মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়।
তারা গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছ থেকে অর্থসহ নানা ধরনের ত্রাণ সংগ্রহ করে। এসব ত্রাণের সাথে পঞ্চগড়ের পানি বোতলজাত করে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান জানান, গণমাধ্যম থেকে জেনেছি যে পানির শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য প্রায় ২৪ হাজার টিবওয়েল এবং কয়েক’শ রিংওয়েলের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে পঞ্চগড় জনসাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই গবেষণায় জানা গেছে পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা একবারেই নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত প্রতি লিটারে ০.০৫ মিলিগ্রাম আর্সেনিক, ০.৩-১.০ আয়রন, ১৫০-৬০০ মিলিগ্রাম ক্লোরাইড এবং ফেকল কলিফর্ম এর মাত্রা প্রতি লিটারে শূন্য মিলিগ্রাম থাকলে তাকে গ্রহণযোগ্য বলা হয়। পঞ্চগড়ের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতিলিটারে ০.০০৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮৫ মিলিগ্রাম, ক্লোরাইড এর মাত্রা ১৪ মিলিগ্রাম এবং ফেকল কলিফর্ম এর মাত্রা একেবারে শূন্য। এসব দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা পঞ্চগড়ের পানি বন্যাকবলিতৈ এলাকায় পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। পানি বোতলজাত করার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন কোম্পানী। তারা খালি বোতল সরবরাহ করেছেন। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের নার্সিং ইন্সস্টিটিউটের মোটর থেকে তোলা এই পানি বোতলজাত করা হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার লিটার পানি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক আহসান হাবিব জানান, পানি ছাড়াও পেঁয়াজ, আলু, চালসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার অনুদান পাঠানো হচ্ছে। পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থীরা শনিবার রাতে এসব ত্রাণ নিয়ে রওয়ানা দেয়ার কথা রয়েছে।