নিউজ ডেস্ক:
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরেও বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়ে গেছে বলে বলছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
দেশটির সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই বৈশ্বিক প্রতিবেদনে গত বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপন করা এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার নীতি প্রস্তুতে সহায়তা করবে।
সেখানে বলা হয়েছে, যদিও এসব হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিরা দায়ী বলে দেশটির সরকার বলছে, কিন্তু ‘ ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদা’ এবং আইসিস অন্তত ৪০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। এমনকি আইসিস এবং একিউআইসেরে প্রকাশনা, ভিডিও ও ওয়েবসাইটে বাংলাদেশী জঙ্গিদের এসব কর্মকাণ্ড প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের মার্চ মাসের তিনটি জঙ্গি হামলার বিবরণ দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকায় র্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চেষ্টা, যাতে ওই হামলাকারী নিহত হয়। এছাড়া ঢাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা এবং সিলেটের আতিয়া মহলের দুইটি বোমার বিস্ফোরণ, যাকে আইসিসের ঘাঁটি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাস বিরোধী আইনটি পুরোদমে প্রয়োগ করছে দেশটির ফৌজদারি বিচার বিভাগ। যদিও বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের বিচারে দেশটিতে পর্যাপ্ত আইন নেই, তবে এরকম অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে প্রচলিত অন্য আইনে বিচার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার বিষয়ক এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সদস্য এবং জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তা সত্ত্বেও জঙ্গিদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেয়ার মতো জটিল অর্থনৈতিক মামলাগুলোর বিচার করার জন্য দেশটির সক্ষমতা যথেষ্ট নয়।
সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া আসার পয়েন্টে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারির প্রশংসা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন এই দপ্তর বলছে, ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করলেও, এখনো দেশটি জঙ্গিদের কোন নজরদারি তালিকা তৈরি করেনি।