নিউজ ডেস্ক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে আমেরিকার আবহাওয়া এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। তবে সেসব সমস্যা না থাকলে নির্ধারিত দিনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের কাজ ৮৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তেলিপাড়া এলাকায় বিটিসিএল-এর টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-প্রকল্পের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
এখন সাজসজ্জার কাজ চলছে জানিয়ে তারানা বলেন, গ্রাউন্ড স্টেশনের অবকাঠামোগত কাজ ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। জেনারেটর ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অ্যান্টিনা স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী অক্টোবরে গ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হবে। এ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণের আগে নভেম্বরে ট্রায়াল দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর আগামী এপ্রিল হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্রডকাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতা কমানো এবং দূর্গম এলাকায় সেবা বিস্তারের জন্য সরকার মহাকাশের কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্যাটেলাইটটি চালু হলে দেশে তথ্য যোগাযোগ, ই-লার্ণিং, ই-ফার্মিং, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নতি হবে। আমরা এখন মহাকাশ জয় করার অপেক্ষায় আছি। মহাকাশে বাংলাদেশ থাকবে এটা একটা অন্যরকম বিজয়।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক মেসবাহুজ্জামান, প্রকল্পের বৈদেশিক পরামর্শক শফিক আহমেদ চৌধুরী, স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালিদ হোসেন খান, পরিচালক নাজমুল হাসান, চীফ কো-অর্ডিনেটর মাহবুব মোরশেদ, প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।