চুয়াডাঙ্গায় দুই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় পত্রিকার সংবাদকর্মীর চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায় সচেতন মহলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই সংবাদকর্মীকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। চায়ের দোকন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় চলছে ওই সংবাদকর্মীদের নানা অপকর্মের কীর্তি-কাহিনী। সংবাদ প্রকাশের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেওয়া, অসদাচরণের ঘটনাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে হয়রানি করার অভিযোগও উঠেছে ওই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে সদর হাসাতালের চিকিৎসক-নার্সরা জানান- স্থানীয় একটি পত্রিকার ওই দুই সাংবাদিকের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তারা এমন ভাব করেন, যেন তার কাছে হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসক-সেবিকারা জিম্মি।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় গতকাল ‘চুয়াডাঙ্গায় দুই সংবাদকর্মী বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল : দৌড়ঝাঁপ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে শেয়ার ও কমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য করতে থাকেন। ওই সাংবাদিকরা যে পত্রিকায় কর্মরত, সেখান থেকে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানান সচেতন মহলের অনেকে।
এছাড়া গত ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি পত্রিকার ওই সংবাদকর্মী আহসান আলম এক রোগীকে ডা. শহিদুল ইসলামের নিকট দেখাতে নিয়ে আসেন। সিরিয়াল অনুযায়ী ওই রোগী দেখতে চিকিৎসকের ১৫ মিনিট দেরি হলে, সংবাদকর্মী আহসান আলম উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। ওই সময় কথিত সংবাদকর্মী আহসান আলম অশালীন মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ডাক্তার-সনো সেন্টারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার ভয়ও দেখান। এতো ঘটনার একপর্যায়ে ডা. শহিদুল ইসলাম অপমানিত বোধ করেন এবং তিনি আর চুয়াডাঙ্গাতে আসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয় রোগীদেরকে। এরপর থেকে ওই চিকিৎসক আর চুয়াডাঙ্গায় আসেননি।