আরফান আলী, শেরপুর:
একজন কলেজ শিক্ষক বলতে কলেজের গন্ডিতেই পড়াশোনা করিয়ে থাকেন, এমন মনে করি আমরা। কখনো দেখেছেন, কোনো কলেজ শিক্ষক নিজের বাসায় বসে একজন শিক্ষার্থীকে ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করা। ফোনে ছাত্রের সাথে যোগাযোগ করে খোঁজ খবর নেওয়া। মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে সকল ছাত্রের ২৪ ঘন্টার খবর নেওয়া।
বলছি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত আহমেদ এর কথা। তিনি ৩৩তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারী পূর্ব গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন তুখোড় মেধাবী। তিনি শুধু শিক্ষকই না তিনি একজন ভ্রাতৃত্বের প্রতীক।
সম্প্রতি স্থানীয় একটি ফেসবুক গ্রুপ ‘আমাদের শ্রীবরদী’ তে মো. নুর নবী নামে একজন রিফাত আহমেদকে নিয়ে পোস্ট দিলে শতশত মন্তব্য আসে।
আনিসুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, সমাজসেবী, মাধুর্যময়, উপদেষ্টা, ছাত্রদের দিকনির্দেশকারী, পরিশ্রমী এবং স্বচ্ছ মনের মানুষ। স্যারের ছাত্র হিসেবে যারাই রয়েছে তারা সবাই সন্তুষ্ট। নাঈম ইসলাম লিখেছেন, তিনি একজন ভালো মানুষ। সব সময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন। মিনা খাতুন লিখেছেন, স্যারকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি অনার্সে রসায়ন নিয়ে পড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। স্যার অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। সুকুর সুমন লিখেছেন, এক কথায় অলরাউন্ডার। শাকিল লিখেছেন, একদম ফ্রেশ মাইন্ডের মানুষ আমার স্যার। সামস সাইমন লিখেছেন, সুন্দর সাবলীল ভাষায় কথা বলেন। নাফিস লিখেছেন, অতুলনীয় একজন মানুষ। তায়বা আফরিন লিখেছেন, স্যারের তুলনা হয় না, অসাধারণ একজন মানুষ। এনামুল হাকিম লিখেছেন, আমি সেই দিন স্যারের সাথে পরিচয় হলাম, মাশা আল্লাহ ভালো। ফিরোজ আহমেদ লিখেছেন, আমার দেখা সেরা ব্যক্তিত্ব।
এ ব্যপারে রিফাত আহমেদ জানান, প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের আমার প্রতি সুন্দর অনুভূতি আমায় চাকরি জীবনের প্রথম দিন থেকেই বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের চাকরিকে আমার পছন্দের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ বিশেষ করে আমার শ্রীবরদী সরকারি কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ একেবারে কাদামাটির মতোই! যাদেরকে ইচ্ছামতো আকৃতি দেয়া যায় এবং গড়ে তোলা যায়! যারা অত্যন্ত অনুগত ও বিনয়ী। এ মায়াময় পরিবেশ আমায় মোহাচ্ছন্ন করে তুলে। আমি সকলের দোয়া চাই যেন মহান আল্লাহ আমায় সকলের ধারণার মতোই সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হওয়ার তওফিক দান করেন।