চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের যোগদান
নিউজ ডেস্ক:পুলিশ সদস্যদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পেলে কোনো ছাড় নয়, কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না, আইনগত ব্যবস্থায় তাঁর স্থান হবে জেলখানায়।’ গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস ট্রেনিং শেডে যোগদান উপলক্ষে বিশেষ মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। পুলিশ সদস্যদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পেলে কোনো ছাড় নয়, কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না, আইনগত ব্যবস্থায় তাঁর স্থান হবে জেলখানায়।’ গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস ট্রেনিং শেডে যোগদান উপলক্ষে বিশেষ মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সকল পুলিশ সদস্যকে মাদকের বিরুদ্ধে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের প্রতি শৈথিল্য প্রদর্শন করেন এবং সম্পৃক্ত হন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে জনগণ যেন চাঁদাবাজির শিকার না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘থানা ও ফাঁড়িগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। থানা ও ফাঁড়ি হবে জনগণের আইনগত সেবা প্রদানের অন্যতম প্রতিষ্ঠান। একটি রাষ্ট্রের চারটি উপাদান রয়েছে; সেগুলো হচ্ছে- জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখ-, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। সরকারের একটি প্রকাশ্য দৃশ্য উপস্থাপন করে পুলিশ। নিরাপত্তা ও সেবায় পুলিশের প্রতিই জনগণের সর্বোচ্চ আস্থা এবং ভরসা রয়েছে। পুলিশ ভালো কাজ করলে, সরকারের ভালো চিত্র ফুটে উঠবে। তাই আমাদের ব্যবহার ভালো করতে হবে। যেন, কোনো পুলিশ সদস্য মারা গেলে তাঁর জানাযার নামজে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।’ গতকাল সোমবার সকালে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নবাগত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। এ সময় চুয়াডাঙ্গায় যোগদান উপলক্ষে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি। সেখান থেকে সড়ক পথে বিকেল সাড়ে তিনটায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌঁছান জাহিদুল ইসলাম। বিকেল সাড়ে চারটায় পুলিশ লাইনসে বিশেষ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, জেলার চার থানার অফিসার ইনচার্জসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ লাইনের সকল সদস্যরা।এক নজরে এসপি জাহিদুল ইসলাম:নবাগত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম মাগুরা জেলা সদরের রাঘবদাউড় ইউনিয়নের বেরইল (বেঙ্গা) গ্রামের একটি মুসলিম সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান। পিতা প্রয়াত শরাফত হোসেন লস্কর ও মা প্রয়াত পারুল হোসেনের ৮ সন্তানের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ৪র্থ। ১৯৯৩ সালে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে ১৯৯৫ সালে যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সফলতার সঙ্গে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে যোগদান করেন। চাকরি করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু বাবার ঐকান্তিক ইচ্ছায় ও দেশ সেবার অদম্য প্রয়াসে জাহিদুল ইসলাম ২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএস পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকরী জীবনে তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, ডিএমপি, বিভিন্ন দেশে ইউএন মিশন, নারায়নগঞ্জে শিল্প পুলিশের এসপি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ট্রেনিংসহ নানা স্থানে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের মানুষের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।গত ২ সেপ্টেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়।