নিউজ ডেস্ক:
পেট ব্যথা এবং পেট খারাপ। এই দুই সমস্যা তো যে কোনো মানুষেরই হয়। তবে এই সমস্যা যদি ঘন ঘন হতেই থাকে তাহলে অবশ্যই চিন্তার কারণ রয়েছে। এর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেরি করবেন না। দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে শরীর-চর্চা অনেকের পক্ষেই করা সম্ভব হয় না। এর পাশাপাশি অলসতা তো রয়েছেই। অফিসে বসে বসে কাজের পাশাপাশি অসময় খাবার খাওয়া, ফাস্ট-ফুড বা ঘনঘন কফি-সিগারেট খাওয়া। কোনোটাই যে পেটের জন্য খুব ‘উপকারি’ নয়, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া পেটে একটু ব্যথা হলেই নিজের ডাক্তারি করাও লেগে থাকে। হাজার রকম ওষুধ খাওয়ার পরেও পেটে বাসা বেঁধেছে যে রোগ, তার নাম ‘ডিসপেপসিয়া’। গ্যাস-অম্বল-বদহজম এর নিত্যসঙ্গী।
ডিসপেপসিয়া কেন হয় ?
কিছু মানুষের পাকস্থলী অত্যন্ত সেনসিটিভ। কিছু অনিয়ম হলেই ডিসপেপসিয়া দেখা যেতে পারে। এছাড়া সঠিক পরিমাণমতো না খাওয়াটাও একটা কারণ। খাবার অনেকক্ষণ না খেলে বা খাবার খাওয়ার পরপরই শুরু হয় বুকের নীচে বা পেটের উপরের অংশে ব্যথা। অনেকক্ষণ পেট খালি রাখলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে চর্বিজাতীয় খাবার হজমে অসুবিধা হয়। তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে পেট ফুলতে শুরু করে। মহিলাদের গর্ভাবস্থাতেও ডিসপেপসিয়া হয়। পাকস্থলী সেনসিটিভ হলে সমস্যা অবধারিত।
গ্যাস, অম্বল, টক ঢেঁকুর, পেটভার, পেট ফুলতে থাকা, গা বমি ইত্যাদি উপসর্গগুলি দেখা দিলেই বুঝতে হবে ডিসপেপসিয়া হয়েছে। এমন বিষয়গুলো বছরে দু-চারবার প্রত্যেকেরই হয়। কিন্তু লাগাতার হতে থাকলে সত্যি চিন্তার বিষয়। ডিসপেপসিয়া হলে এমনিতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু বয়স ৫০-র বেশি হলে, খাবার গিলতে কষ্ট হলে, চেষ্টা ছাড়াই ওজন কমতে শুরু করলে, জ্বর অথবা জন্ডিস হলে, বা কোনো কারণ ছাড়াই অ্যানিমিয়া হলে তখন কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিৎ।
যে খাবারে অস্বস্তি বাড়ে তা খাবেন না। সাধারণত দুধ, চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার, ভাজা, প্যাকেটের ফলের রস, টক, বাদাম ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল। একবারে অনেকটা খেতে পারেন। আবার একটু একটু করে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। তাই বলে অনবরত টুকটাক মুখোরোচক খাবার না খাওয়াই ভাল। রাতে খাবার বেশি দেরি করে খাবেন না। আর খেয়েই শুয়ে পড়াটা অত্যন্ত খারাপ লক্ষণ। এই সমস্ত বিষয়গুলি মেনে চলতে পারলে ডিসপেপসিয়া থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া সম্ভব।