নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। তবে এ ব্যাপারে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনকে কে বা কারা সাহায্য করেছিল তা কিন্তু এখনও ঘোলাটে একটি বিষয়। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের নিষেধাজ্ঞার নতুন তালিকায় এক রুশ তরুণী হ্যাকারের নাম উঠে এসেছে। খবর বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এর।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার সেই তালিকা প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। তালিকায় ওই তরুণী হ্যাকারের নাম চলে আসে। সেখানে বলা হয়, তরুণীর নাম আলিসা শেভচেংকো। ‘জেডওআর’ কোম্পানির আলিসা একজন দক্ষ হ্যাকার। তিনি বড় ধরনের চুক্তির মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তা দুর্বল করার কাজ করে থাকেন। এরপর স্বভাবতই সবাই ধারণা করছে, এই তরুণীই হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য রাশিয়ার হয়ে কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য ‘জেডওআর’ নামের সেই কোম্পানি যান্ত্রিক গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য রাশিয়ান ফেডারেশনের হয়ে কাজ করে থাকে। হ্যাকার তরুণী আলিসা শেভচেংকো ‘জেডওআর’ কোম্পানিরই একজন। তালিকায় নিজের কোম্পানির নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর আলিসা শেভচেংকো দাবি করেন, “তিনি তার স্বজ্ঞানে কখনোই রাশিয়ার সরকারের হয়ে কাজ করেননি। হোয়াইড হাউস হয়তো তার কোম্পানির ফ্রেম নকল করেছে। অথবা এটি নিতান্তই একটি ‘অপব্যাখা’। ”
শেভচেংকো আরও বলেন, “আমি এটা লুকাব না। এক কিশোরী হ্যাকার এবং আমার অসহায় কোম্পানি যে কোনো কাজ তোলার ক্ষেত্রে দক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ হলো কোম্পানির এই অপবাদ মোচনের জন্য আমার অনেক বেশি টাকা নেই, এমনকি আমার পেছনে কোনো ক্ষমতাও নেই।