নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ মালাউয়িতে কয়েকজন কথিত রক্তচোষা মানুষকে হত্যা করেছে দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি রক্তচোষা আখ্যায়িত করে এক ব্যক্তিকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। অপর একজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে প্রায় ২৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও রক্তচোষা মানুষের বিষয়টি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মালাউয়ির প্রেসিডেন্ট পিটার মুথারিকা।
জানা যায়, দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দাবি, বাস্তবে মালাউয়িতে রক্তচোষা মানুষ আছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের রক্ত পান করা হয়েছে বলে জানান তারা। এর জের ধরেই রক্তচোষাদের নির্মূল করতে মাঠে নেমেছেন তারা। আর এ হামলার শিকার হচ্ছে মূলত ধনীরাই। এ থেকে অনেকেই বলছেন, কথিত রক্তচোষারা আসলে মালাউয়ির ধনী সমাজ। তারা মানুষের রক্ত পান করে না।
বরং দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর ধনীদের আর্থিক শোষণের রূপক অর্থে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে ‘রক্তচোষা’ আখ্যা দিয়ে হত্যাকাণ্ডের খবর মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে তাদের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া সেখানে ভ্রমণ না করতে পর্যটকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি হামলার শিকার এক ব্যক্তি জানান, প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী তার বাড়িতে ছুরি ও পাথর নিয়ে হামলা চালায়। সৌভাগ্যবশত তিনি সে সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন।
যদিও রক্তচোষা বলে কিছুই নেই। একদল দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধনীদের সম্পদের লোভে এই হামলা করছে। কারো দামি গাড়ি থাকলে তাকেও রক্তচোষা আখ্যায়িত করা তার উপর হামলা চালাচ্ছে বা তাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করছে। সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, মালাউয়ির দারিদ্র্যপীড়িত দক্ষিণাঞ্চলের মুলানজে ও ফালমবে এলাকায় এ হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। এলাকাগুলো ‘কালো জাদু’ ও ‘ডাকিনীবিদ্যা’র জন্য পরিচিত।