নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর পল্লবী থানার ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনায় চার পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাসসকে জানান, বুধবার সকাল ৭ টার দিকে পল্লবী থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পল্লবী থানা পুলিশ দু’টি বিদেশী পিস্তল ও ডিজিটাল ওয়েট মাপার যন্ত্র সাদৃশ বোমাসহ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কাছে ওজন মাপার মেশিনের মতো একটা যন্ত্র ছিল। ওই যন্ত্রটি ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা হলে তা সকালে বিস্ফোরিত হয়।
তিনি জানান, আটক হওয়া সন্ত্রাসীরা ভাড়াটে খুনি। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল তারা পল্লবীর স্থানীয় একজনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিলেন। বিষয়টি সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় চার জন পুলিশ সদস্য ও একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনকে চক্ষু হাসপাতালে স্থানান্তর ও দু’জনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে এখনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেনি। বিষয়টি তদন্তের পর সবকিছু পরিস্কার হবে বলেও জানান তিনি।
আহতরা হলেন, পল্লবী থানার ওসি তদন্ত পুলিশ পরিদর্শক ইমরানুল ইসলাম (৪৮), উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব আহম্মেদ (৩০), এএসআই অঙ্কুর চন্দ্র (২৮), এএসআই রুমি (২৮)। এছাড়া রিয়াজ (২৮) নামে একজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে রুমি ও রিয়াজ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
এএসআই অঙ্কুশ চক্ষু হাসপাতালে আছেন। ওসি তদন্ত ইমরান ও এসআই সজীব প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া এ খবর নিশ্চিত করে জানান, আজ বুধবার সকালে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৫ জনকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে দু’জনকে ভর্তি করা হয়। অপর ৩ জনের মধ্যে দু’জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। একজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস