নিউজ ডেস্ক:
বলিউডের এসময়ের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘পদ্মাবতী’। সঞ্জয়লীলা বানশালী পরিচালিত ইতিহাস নির্ভর সিনেমাটি নিয়ে ভারতে চলছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। কর্ণি সেনা ও রাজপুতানাদের হুমকির মুখে পিছিয়ে গেছে এর মুক্তিও। এবার পদ্মাবতী ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেতা আমির খান।
তবে একটু রাখঢাক করেই যেন মন্তব্য করলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তাঁর মতে স্বাধীন দেশে প্রত্যেকের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। হিংসা কোথাও সমর্থনযোগ্য নয় বলেই জানান আমির। বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
বছর শেষে সংবাদের শিরোনামে বারবার উঠে এসেছে সঞ্জয় লীলা বনশালির ড্রিম প্রজেক্ট। কর্ণি সেনা, রাজপুতানা সংগঠনদের ক্রমাগত প্রতিবাদে ছবি মুক্তি নিয়ে আগেই সংশয় দেখা দিয়েছিল। আবেদনপত্রে ত্রুটি থাকার অজুহাতে সেন্সরও ছবিটি ফিরিয়ে দেয়।
পরে আবার ছবির জন্য সংসদীয় কমিটির কাছেও জবাবদিহি করতে যেতে হয় পরিচালককে। দীপিকার মাথা, নাক কাটার ফতোয়াও জারি করা হয়।
এ নিয়ে সরব হয়েছে বলিউড, টলিউড। ১৫ মিনিটের ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়েছে। বহু তারকাও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু এতদিন এ বিষয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি আমির।
সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে অভিনেতা জানান, এ বিষয়ে কোনও ব্যক্তিগত মতামত তিনি দিতে চান না। তবে এটুকু বলতে পারেন, স্বাধীন দেশে প্রত্যেকের প্রতিবাদ করার অধিকার অবশ্যই রয়েছে। তবে ভারতের মতো গণতন্ত্রে যেখানে সবাই নির্দিষ্ট আইন মেনে চলেন, সেখানে কাউকে হুমকি দেওয়া, হিংসা ছড়ানো কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। প্রায় একই সুরে কথা বলেছিলেন সালমান খানও। সিনেমা না দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় বলেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সঞ্জয় লীলা বনশালির উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অমিতাভ বচ্চনের মতো সিনিয়র অভিনেতার মুখেও ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি।
এদিকে নতুন আবেদন করে সেন্সর বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘পদ্মাবতী’র নির্মাতারা। আগামী সপ্তাহে ছবি দেখবেন সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের মুখ খোলা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ছবি নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্তের ভার প্রসূন জোশীর নেতৃত্বাধীন সংস্থার উপর ন্যস্ত করেছে শীর্ষ আদালত।