1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
নিজভূমে পরবাসী চা শ্রমিকদের জীবন লেবার লাইনে বন্দী চা শ্রমিকদের টানাপড়েনের জীবন ॥ মজুরিতে চলছে না সংসার | Nilkontho
১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
মাইজভাণ্ডারী একাডেমি’র সপ্তদশ শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ আমেরিকায় মসজিদ ও মুসলমান নানা উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের দাম ওমরাহ পালনকারীদের যে পরিভাষাগুলো জানা উচিৎ ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ হামাসকে আল্টিমেটাম দিলো ইসরাইল পুড়ছে হলিউড, কাঁদছে জায়েদ খানের মন লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল নিয়ন্ত্রণে কিছুটা অগ্রগতি মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ২, নিখোঁজ একাধিক থানায় ঢুকে আসামি ছিনতাই মায়ের জন্য খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে জয়ী হতে টিউলিপকে যেভাবে সহযোগিতা করেছে আওয়ামী লীগ চাঁদপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  পিছিয়ে গেল কাভিশের কনসার্ট রংপুরে স্মরণকালের বৃহৎ সাংবাদিক সমাবেশের প্রস্তুতি শৈত্যপ্রবাহের মাঝে ২ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো রাজশাহী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি

নিজভূমে পরবাসী চা শ্রমিকদের জীবন লেবার লাইনে বন্দী চা শ্রমিকদের টানাপড়েনের জীবন ॥ মজুরিতে চলছে না সংসার

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ দু’টি পাতার একটি কুঁড়ির বিভাগ সিলেট। ১৫৬টি চা বাগানের মধ্যে ১২০টির অবস্থান এই বিভাগে। হবিগঞ্জ জেলায় রয়েছে ২৪ টি চা বাগান। আর এসব বাগানের চা শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চা গাছ ছেঁটে যেভাবে ২৬ ইঞ্চির বেশি বাড়তে দেয়া হয় না। চা শ্রমিকের জীবনও যেন চা গাছের মতোই। লেবার লাইনের ২২২ বর্গফুটের কুড়ে ঘরে বন্দী। চা বাগানের জীবনও যেনো এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। আর বাগানটাই শ্রমিকদের কাছে গোটা পৃথিবী।
দিনে আট ঘণ্টা টানা কাজ করেও সকালে চা-পাতা ভাজা, দুপুরে শুকনা রুটি এবং রাতে মরিচ দিয়ে ভাত খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের চা শ্রমিকরা। টানা আট ঘণ্টার প্রচন্ড পরিশ্রম শেষে প্রতিদিন একজন শ্রমিক ২৩ কেজি চা-পাতা সংগ্রহের পরেও মজুরি হিসেবে পাচ্ছেন মাত্র ৮৫ টাকা। এই টাকায় শ্রমিকরা না নিজে ভালোভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারছেন, না তাদের সন্তানরা ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও অপুষ্টিতে ভুগছেন।
পরিবেশবিদরা বলছেন, বাগান থাকলে পর্যায়ক্রমে শ্রমিকের বেতন আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট, মাধবপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জের ১৫ হাজার ৭০৩ দশমিক ২৪ হেক্টর পাহাড়ি এলাকাখ্যাত বাগানগুলো রক্ষা হলে চা শ্রমিকদের সুদিন ফিরে আসবে। তবে শ্রমিকরা আর আশার বাণী মানতে রাজি নন।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ আন্দোলনের পর চা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬৯ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা, সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চা শ্রমিকদের দিনকাল ====
শ্রম মন্ত্রণালয় তিন শ্রেণির চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬৯, ৬৭ ও ৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। আগে তাদের মজুরি ছিল যথাক্রমে ৬২, ৬০ ও ৫৯ টাকা বর্তমানে ৮৫ টাকা।। সঙ্গে সপ্তাহে ৩ কেজি রেশনের চাল ও আটা। এ দিয়ে পরিবার নিয়ে তিন বেলা খাবার জোটে না শ্রমিকদের। সকালে লবণ দিয়ে এক মগ চা আর সাথে দুমুঠো চাল ভাজা খেয়ে বাগানে যেতে হয়। অথচ বাগান মালিকের জমি সরকারেরই খাস জমি। সামান্য অর্থে লিজ নিয়ে বাগান করে বেসরকারি কোম্পানিগুলো। ‘অল্প টাকা মজুরি পাই। এতে একজনেরই চলে না। ছেলে মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে গেছে’- বলছিলেন চা শ্রমিক শিখা রবিদাস। চা বাগান ঘুরে শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে অনেক শ্রমিক তাদের ক্ষোভের কথা জানান।
চা শ্রমিকদের ভাষার ব্যবহার দেখলে মনে হবে এখনও ব্রিটিশ শাসনামল চলছে। এই যেমন- ব্যবস্থাপককে ডাকে ‘বড় বাবু’ বলে। সহকারি ব্যবস্থাপককে ‘ছোট বাবু’ বলে ডাকে। এছাড়া ব্যবস্থাপকের বাসার কাজের লোকদের ‘বেয়ারা’ বলে ডাকা হয়। এছাড়া কেউ বেড়াতে গেলে তাদেরকে ‘সাহেব’ বলে চা শ্রমিকরা।

একটু পিছনে ফেরা===
এই শিল্পটি স্থাপিত হয়েছিল বৃটিশ ঊপনিবেশিক সময়েই। পাহাড়ি জায়গা বেছে নেয়া হয় চা শিল্পের জন্য। শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় সমাজের সবচেয়ে নিচু শ্রেণির হরিজন, কোল, মুন্ডা, কৈরি, চন্ডাল, সাঁওতাল প্রভৃতি সমপ্রদায়ের লোকজনদের যাদের নিজস্ব সমাজ সংস্কৃতি থাকলেও তা উপেক্ষিত। জানা গেছে, বৃটিশরা চা শ্রমিকদের মাদ্রাজ, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খন্ডের রাত্রি, ডোমকা, নাগপুর প্রভৃতি অঞ্চল থেকে এনেছিল। চা বাগান বানানো ছাড়া অন্য কোন কাজ জানা নেই এদের।

রক্তাক্ত ইতিহাস=====
বাংলাদেশে চা শিল্পের ইতিহাস ১৫০ বছরের। সিলেটে চা বাগান তৈরির শুরুর দিকে উন্নত জীবনযাপনের আশা নিয়ে জন্মমাটি ছেড়ে চা বাগানে কাজ করতে আসে দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের অভাবী মানুষ। কিন্তু কাজে এসে তাদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যায়। স্বপ্নভঙ্গের জ্বালা নিয়ে তারা ফিরতে চায় নিজের দেশে। শ্রমিকরা দেশ ত্যাগ করতে গেলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নির্বিচারে হাজার হাজার চা শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। ১৯২১ সালের ২০ মের সেই রক্তাক্ত পরিণতিতে চা শ্রমিকদের দেশে ফেরার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়।

অপ্রতুল চিকিত্সাসেবা===
বাগানগুলোতে নেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। আধুনিক চিকিত্সা পদ্ধতির পরিবর্তে এখনও তারা অতিপ্রাকৃত শক্তির উপর নির্ভর চিকিত্সা পদ্ধতি ব্যবহার করে। আর তাই চা বাগানের শত শত শিশু অপুষ্টির শিকার। তবে বর্তমানে চা বাগানগুলোতে হাসপাতাল থাকলেও সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ দেয়া হয়। অন্যদিকে নারী শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটিও ঠিক ভাবে পায় না। জানা গেছে, এমনও হয়েছে কর্মস্থলেই অনেক বাচ্চার জন্ম হয়েছে। তবে কিছু বাগানে নারী শ্রমিকরা সরকারি আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছে।

শিক্ষা ও বিনোদন ব্যবস্থা===
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সকল চা বাগানে স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে। তবে সেটার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অনেক চা বাগানে শিক্ষার আলো ছড়ানোর ব্যবস্থা নেই। আর যাও আছে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার (আইএলও) বিধান অনুযায়ী, ৮ ঘন্টা শ্রমের নিয়ম থাকলেও চা শ্রমিকদের কোন শ্রমঘন্টা নেই। আর বিনোদনের তো প্রশ্নই আসে না। চা শ্রমিকদের বিনোদন বলতে নেশায় বুদ হয়ে থাকা! তবে এখন অনেকে বিভিন্ন খেলাধুলা করে থাকে।

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী চা বাগান===
দিনটি ঐতিহাসিক ৪ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের বাংলোটিতে দেশ স্বাধীন করার জন্য ঐতিহাসিক এক শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকেই সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তত্কালীন মেজর সি আর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল এম এ রব, ক্যাপ্টেন নাসিম, আব্দুল মতিন, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম, মৌলানা আসাদ আলী, লে. সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কে এম শফিউল্লাহ প্রমুখ।
তেলিয়াপাড়া চা বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোটিকে ৩ নম্বর সেক্টরের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বৈঠক শেষে এম.এ.জি ওসমানী নিজের পিস্তলের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের শপথ করেন। বাংলোর সামনে একটি বুলেট স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

 Save as PDF

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১