নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী মোছাঃ আলপনা আক্তারকে ১৮ বৎসর বয়স দেখিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য জন্ম সনদ প্রদানের এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটি গ্রামের মোঃ আঞ্জু মিয়া ও মোছাঃ মমতা খাতুনের মেয়ে মোছাঃ আলপনা খাতুন কাশীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৬সনে ৮ম শ্রেণীতের অধ্যয়নরত তাঁর শ্রেণী রোল ৯৪ এবং জন্ম তারিখ ৩০-১২-২০১৬ইং। রাজগাতী ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের উদ্দ্যোক্তা মোঃ বিল্লাল মিয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত ছাত্রীকে ২০-০৩-১৯৯৯ইং তারিখ বসিয়ে একটি জন্ম সনদ তৈরী করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করেন। একই উদ্দ্যোক্তা এই ছাত্রীর নামে ২৩-০৩-২০০৮ সনে জন্ম তারিখ ৩০-১২-২০০০ তারিখে আরও একটি জন্ম সনদ প্রদান করেছিলেন। রাজগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রুকন উদ্দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জন্ম সনদটি আটকে দেন। এছাড়া উক্ত উদ্দ্যোক্তা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে কাশীনগর গ্রামের মৃত তারা মিয়ার পুত্র মোঃ মুক্তার হোসেন, হিরন মিয়া, আজাহরুল ইসলাম ভূইয়া সহ ৬৮ জন ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাজগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রুকন উদ্দিন ভূয়া জন্ম সনদটি আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানান। উদ্দ্যোক্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সুপারিশে তিনি এ কাজটি করেছেন। ভবিষ্যতে এধরনের ভূল আর করবেন না বলে এই প্রতিনিধিকে জানান। না বালিকা স্কুল ছাত্রীকে সাবালিকা দেখিয়ে ভূয়া জন্ম সনদ প্রদান করার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় জনগণ উদ্দ্যোক্তা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।