নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৭নং মুশুলী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে বিএডিসি কর্তৃক পরিচালিত ৬৮ নং গভীর নলকূপ পরিচালনা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে সৃষ্ট গোলযোগের কারনে চলতি বছর ১শ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ বন্ধ থাকার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএডিসি নান্দাইল অফিস কর্তৃক উক্ত গভীর নলকূপ পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় বোরো চাষীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে বাহাদুর গ্রামের মোঃ আবু তাহের লাল মিয়া বিএডিসি অফিসে সরকার রশিদমূলে ২৩ হাজার ৫শত টাকা জমা দিয়েছেন। গত ১২ই জানুয়ারী উক্ত আবু তাহের গভীর নলকূপ চালু করতে গেলে একই গ্রামের মৃত হাজী আদম আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম, মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র আব্দুস সাত্তার, মৃত কিতাব আলীর পুত্র ওয়াছিদ মিয়া, আব্দুর রাশিদের পুত্র রতন মিয়া গং গভীর নলকূপ পরিচালনা করতে বাধা প্রদান করেন। এতে করে উভয় পক্ষের মাঝে সমূহ গোলযোগের সৃষ্টি হয়। গত বৎসর গোলযোগের কারণে গভীর নলকূপটি বন্ধ ছিল। নান্দাইল উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন জানান, গত বৎসর গোলযোগের কারনে এলাকায় বড় আকারের সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে আবু তাহের লাল মিয়া গংকে ৮ বৎসর গভীর নলকূপ পরিচালনা করার দায়িত্ব রেজিলিউশনমূলে দেওয়া হয়। তিনি বিদ্যুৎ বিল সহ যাবতীয় বিল পরিশোধ করে যাবেন। এখানে নুরুল ইসলাম গংদের বাধা প্রদান করার আইনগত কোন ভিত্তি নেই। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজে ডাক বাংলায় দরবার করে ফয়সালা করে দিয়েছিলেন। জানাগেছে বাহাদুরপুর গ্রামে মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র কথিত ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার কুট কৌশলে গ্রামে নানা ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করে গভীর নলকূপ পরিচালনায় বাধা দিয়ে যাচ্ছে। গভীর নলকূপের নিরীহ ম্যানেজার আবু তাহের লাল মিয়া বর্তমান ২০১৮ সনে অধিক বোরো ধান উৎপাদনের স্বার্থে গভীর নলকূপটি যাতে চালু রাখা যায় এরজন্য তিনি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।