রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, পিক-আপ, সিএনজি, অটোরিক্সা, নসিমন-করিমন, ঢাকাগামী ও বিভিন্ন কোম্পানীর শ্রমিকবাসসহ বিভিন্ন ধরণের শহস্রাধিক যানবাহন বাগাতিপাড়া থেকে তমালতলা হয়ে নাটোর জেলা সদরে যাতায়াত করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মালঞ্চি রেলগেট, সোনাপাতিল, বারইপাড়া, যোগীপাড়া, চকহরিরামপুর, তমালতলা, হাজীপাড়াসহ প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি স্থানে খানাখন্দ তৈরী হয়েছে। এছাড়া তেবাড়ীয়া হাটের মধ্যে দুটি স্থানে রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সকল স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরী হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। হাসপাতালগামী রোগী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের চলাচলে সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ধীরগতিতে যান চলাচলের কারণে গন্তব্যস্থলে পৌছতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলির সমাধান না করলে ক্ষতির পরিমান বাড়তে থাকবে বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা।
২০১১-১২ অর্থ বছরে পল্লী সড়ক কালভার্ট কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় বাগাতিপাড়া হেড কোয়ার্টার হতে তেবাড়িয়া জিসি (বাগাতিপাড়া অংশ) ৬৮,৭৮,৫৭৭/- আটষট্টি লাখ আটাত্তর হাজার পাঁচ শ’ সাতাত্তর টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি সর্বশেষ সংস্কার হয় বলে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর নিশ্চিত করেছে।
তমালতলা অটোস্ট্যান্ড মাষ্টার জহুরুল ইসলাম দাবী করেন, নাটোরের রাস্তায় বেশ কিছু যায়গায় এক ফুটের বেশী গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি হলে বুঝা যায়না কতটুকু গর্ত আছে। অনেক গাড়ী উল্টে চালক ও যাত্রীরা আহত হয়। ভাঙ্গা যায়গাগুলো মেরামত না করায় দিনদিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো সংস্কারের দাবীও জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ‘নিরাপদ সড়কচাই’ সংগঠনের বাগাতিপাড়া সভাপতি আরিফুল ইসলাম তপু বলেন, এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরপুর। যা সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপদ ভ্রমণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী এএস.এম শরিফ খাঁন বলেন, ‘মালঞ্চি থেকে তমালতলা হয়ে নাটোর রাস্তাটি বাগাতিপাড়ার মধ্যে ৯.৬কিলোমিটার। রাস্তার দু’পাশে ৩ ফুট করে প্রথমত ৪কিলোমিটার প্রসস্তকরণ চলমান কাজটি শেষ হলেই কার্পেটিং করা হবে এবং বাকী ৫.৬কিলোমিটার অংশ স্কিম অনুমোদন হয়েছে, প্রাক্কলন পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, অনুমোদন সাপেক্ষে কাজ শুরু হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো ইমারজেন্সি মেইন্টেনেন্স এর আওতায় নিয়ে ড্যামেজ স্পেস গুলো ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।