বাড়ি থেকে পালিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে এলোমেলো ঘোরাঘুরি
নিউজ ডেস্ক:পরিবারের ওপর রাগ করে চুয়াডাঙ্গায় চলে আসা দিনাজপুরের ১১-১২ বছরের তিন শিশুকে ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে সদর থানার হেফাজতে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় ওই তিন শিশুকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাদের থানা হেফাজতে দেওয়া হয়।
জানা যায়, সদর থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে খোঁজ নেওয়া হয় তাদের পরিবারের। একপর্যায়ে খবর পান দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ডিউটি অফিসারের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবারও পালিয়ে যায় দুরন্ত ওই তিন শিশু। পরে সদর থানা পুলিশের বিচক্ষণতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, বাড়ি থেকে পালানো ওই তিন শিশু হলো সোহেল রানা ওরফে জনি (১২), মোছাদ্দেক ইসলাম (১১) ও স্বপন বাবু (১১)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার নবীনগঞ্জের বিন্নাগাড়ী গ্রামের সোহেল রানা জনিকে দুষ্টুমির জন্য বকাঝকা করেন তার পিতা সাইফুল ইসলাম। বাবার কাছে বকা খেয়ে জনি তারই দুই বন্ধু স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র একই এলাকার আবু সামার ছেলে মোছাদ্দেক ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের ছেলে স্বপন বাবুকে সঙ্গে নিয়ে গত রোববার সন্ধ্যার পর গন্তব্যহীনভাবে ট্রেনে চড়ে বসে। পরপর রাতে তারা চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে নেমে পড়ে। পরদিন গতকাল সোমবার সকালে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে তাদের এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। স্থানীয়রা বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশকে জানালে ট্রাফিক পুলিশ সদর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাদের। সদর থানার উিউটি অফিসার দুরন্ত ওই শিশুদের নিজ কক্ষে বসিয়ে তাদের কাছ থেকে শুনে তাদের ঠিকানা অনুসন্ধানের জন্য দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় ফোন দেন। এ সময় ওই ছেলেদের বিষয়ে ফোন দেওয়া হয় দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিককেও। এমপি শিবলী সাদিক ওই তিন শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে কাজ শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে সদর থানা উিউটি অফিসারের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবারও পালিয়ে যায় ওই তিন শিশু। পরে খোঁজাখুঁজির কিছু সময় পর চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই তিন শিশুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে সদর থানার পুলিশ। ওই শিশুদের পরিবারের লোকজন চুয়াডাঙ্গায় এলে পরিবারের জিম্মায় তাদের দেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।