নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্যরে পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত এই বর্জ্যের মাত্র অর্ধেক পরিমাণ বর্জ্য স্তুপিকরণ এলাকা বা ডাম্পিং সাইটে পাওয়া যায়। এই পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে বজলুর হক হারুনের (ঝালকাঠি-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশ সম্মত নগর গড়ে তোলার পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও এনার্জি উৎপাদন করা যায়, তা নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক মিটার:
আ খ ম জাহঙ্গীর হোসেনের লিখিত ( পাটুয়াখালী-৩) এক প্রশ্নের বিদৎ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানী দক্ষতা বৃদ্ধি ও গ্যাসের অপচয় রোধের মাধ্যমে উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করারার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় তিতাস গ্যাস কোম্পানী মোহাম্মদপুর লালমাটিয়া এলাকায় ৪ হাজার ৫০০ টি আবাসিক মিটার স্থাপন করেছে। এ প্রকল্পের জরিপের ফলাফল সন্তোষজনক। গ্রাহকদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহারের কারণে প্রতিটি ডাবল বার্ণার চুলায় গডে ৩৩ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হতে দেখা যায়। তিনি আরো জানান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ( এডিবির ) অর্থয়ানে ৮ হাজার৬০০ টি অবাসিক প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে বালে জানান এ মন্ত্রী। দেশে দৈনিক প্রায় ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত গ্রাসের প্রাথমিক মজুদ প্রায় ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিযন ঘনফুট এবং জানুয়ারী ২০১৭ মজুদ প্রায় ১২ দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে দেশে ৩৭ টি গ্র্যাস কূপ খননের পারিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে।