দুই দফা দাবি না মানলে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘট

0
7

চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
নিউজ ডেস্ক:‘নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটিসহ ইদানিং ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান ও থ্রি-হুইলার নতুন আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এদিকে মেহেরপুর মালিক সমিতির একগুঁয়েমিপনার কারণে গত ২৫ জুলাই থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের দরবেশপুর পর্যন্ত বাস চলাচল করছে। এতে পরিবহন ব্যবসা অচল হতে চলেছে।’ চুয়াডাঙ্গা জেলার সব মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আলী হোসেন সুপার মার্কেটস্থ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।‘নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটিসহ ইদানিং ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান ও থ্রি-হুইলার নতুন আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এদিকে মেহেরপুর মালিক সমিতির একগুঁয়েমিপনার কারণে গত ২৫ জুলাই থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের দরবেশপুর পর্যন্ত বাস চলাচল করছে। এতে পরিবহন ব্যবসা অচল হতে চলেছে।’ চুয়াডাঙ্গা জেলার সব মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আলী হোসেন সুপার মার্কেটস্থ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেলার প্রধান পাঁচটি সড়ক থেকে নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ইজিবাইক, থ্রি হুইলারসহ সব অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি। এ ছাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে এসব  যানবাহন উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।’ তিনি দাবি করেন, জেলার প্রধান সড়কগুলোতে এসব যানবাহন চলাচল করার কারণে পরিবহন শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ কারণে জেলার প্রায় দেড় হাজার পরিবহন ব্যবসায়ী ও ছয় হাজার শ্রমিক চরম নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযাপন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার স্থানীয় পত্র-পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গত ৯ বছরে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে অবৈধ এসব যানবাহনে দুর্ঘটনায় ৫ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ২ হাজার মানুষ। হতাহতদের পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। কিন্তু এরপরও ঘুম ভাঙছে না স্থানীয় প্রশাসনের। জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল বলেন, ‘আমাদের বাস-ট্রাকসহ সব যানবাহন রাজস্ব দিয়ে রুট নিয়ে চলাফেরা করে। কিন্তু অবৈধ, রেজিস্ট্রেশন ও নম্বরবিহীন যানবাহনের কারণে আমাদের পরিবহনগুলো যাত্রী শূন্যতায় ভুগছে। যদি তারা রাজস্ব দিয়ে রুট নিয়ে চলাচল করে, তবে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’ সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব সমস্যা সমাধানে দুই দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো ১. আঞ্চলিক পাঁচটি সড়কে নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। ২. চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে ২৫ জুলাইয়ের আগের ন্যায় সরাসরি বাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ছয়টা থেকে চুয়াডাঙ্গার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক পরিবহন যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে। ধর্মঘট চলাকালে দূরপাল্লা, আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ পথে বাস-ট্রাকসহ কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি সালাহ উদ্দীন, সিনিয়র সহসভাপতি হাজি আবুল কালাম, সহসভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দীক, যুগ্ম সম্পাদক বদর উদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর খসরু, কোষাধ্যক্ষ হাজি নাজমুল হক, নির্বাহী সদস্য আলম আলী, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আলী রেজা সজল, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন, সহসম্পাদক উসমান মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মিয়া সোহেল, জেলা বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ শেখসহ মালিক-শ্রমিক ঐক্য গ্রুপের সদস্যরা।