হরিণাকুন্ডু গ্রামের দুই কিলোমিটার রাস্তার হাল এখন বেহাল,
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের দুই কিলোমিটার রাস্তার হাল এখন বেহাল। মেরামতের অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার হাজারো মানুষ। দেখার যেন কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিদের আশার বানী শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। ভোটের আগে কত আশ্বাস ও বানী ছিল জনপ্রতিনিধিদের মুখে। এখন তাদের দেখা মেলেনা। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। তারা ঠিকমতো যানবাহনে চলাচল করতে পারছেন না। হরিণাকুন্ডুর রঘুনাথপুর ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের এই একমাত্র রাস্তাটি প্রায় ১০/১৫ বছর সংস্কার করা হয় না। ফলে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা এখন মানুষের গলার কাটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে। দুই ধারে পুকুর থাকায় বর্তমান রাস্তাটি অনেক সরু হয়ে গেছে। রাস্তা ভেঙে পুকুরে চলে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করতে তাদের খুব কষ্ট হয়। এরপরও রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করার ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের শিক্ষক মঈন উদ্দিন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি প্রায় দুই যুগ ধরে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। সংস্কারের জন্য তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হয়েছেন, কিন্তু কেও কথা রাখেন নি। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি হরিণাকুন্ডু এলজিইডিরও কোনো মাথা ব্যাথা নেই। যানবাহন চালকরা জানান, এই রাস্তাটিতে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য নিয়ে চলাচলের সময় নসিমন, করিমন, গরুরগাড়ী, অটো ভ্যানসহ যানবাহন গুলো উল্টে যায়। আবার কখনো কখনো গাড়ির ঝুরো ভেঙ্গে যাত্রীরা আহত হন। বিষয়টি নিয়ে রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে কৃষকের ঘরে উঠে। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তিতে পড়ছে। তিনি রাস্তা সংস্কারে দাবী জানান। হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে। খুব দ্রুব সংস্কার করা হবে।