এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি :দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার কর্তৃক চাল আন্তসাত এর ঘটনায় ইউএনওর বরাবরে লিখিতো অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যা।
বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে মহিলা ইউপি সদস্যা ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৪৫৫ নং কার্ডধারী মোছাঃ পারুল বেগম বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনকে লিখিত অভিযোগে জানায়, পলাশবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মোঃ নাজমুল হোসেন বাহাদুর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কার্ডধারী দুস্থদের না দিয়ে আন্তসাত করেছে।
পাশাপাশি মঙ্গলবার উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বৈরবাড়ী গ্রামের বিরন অধিকারীর ছেলে ধীরেন্দ্র নাথ অধিকারী কার্ড নং-৩৪/৪২৯, ধূখোল মহন্ত ছেলে ফাগুনা মহন্ত কার্ড নং-৩৫/৪৩০, মৃতঃ সচিন্দ্রে ছেলে রমেশ কার্ড নং-৩৯/৪৩৪ এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ রমিজ আলম ঘটনাস্থল পরির্দশন করলে ডিলার নাজমুল হোসেন বাহাদুর তার সাথে দেখা না করে পালিয়ে যাওয়ার কথাও জানায় ভুক্ত ভুগীরা। তারা আরো জানায়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর এর ২৩ তারিখ হতে ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল পযন্ত চাউল বিতরন হয়েছে। শুধু মাত্র ইউপি চেয়ারম্যানের কারনে শেষ বারের বিতরনের চাউল আমরা পেয়েছি।
ডিলার নাজমুল হোসেন বাহাদুর মুঠো ফোনে জানায়, ৫নং ওয়ার্ড বৈরবাড়ী গ্রামের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম কার কার্ড কাকে দিয়েছে জানিনা, আমি কার্ড পেয়েছি চাউল দিয়েছি, চাউল গ্রহনকারীদের সাক্ষর মাষ্টারোলে রয়েছে। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম হাজতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নী।
অপরদিকে পলাশবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জুয়েলুর রহমান জানায়, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির নতুন কার্ড করার সময় জানাগেছে তাদের নামে পূর্বেই কার্ড হয়েছে, ডিলারকে ঘটনাটি জানিয়ে চাউল বিতরন কালে কার্ড গুলী আটক করে প্রকৃত কার্ড ধারীদের চাউল দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে প্রকৃত ঘটনা তদন্তের জন্য বুধবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত ঘটনাস্থল পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন করছেন অবস্থান করেন, তিনি জানায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল আন্তসাত সত্য প্রমানিতো হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।