চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে টিসিবির ৩০ টাকা কেজি দরের পিয়াজ
চাহিদার তুলনায় মাত্র ২০০ কেজি পিয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। যা চাহিদার
তুলনায় খুবই সামান্য। এই পেয়াজ ২ কেজি করে মাত্র ১০০ জনকে দেওয়া
হয়েছে। টিসিবির ৩০ টাকা দরের পিয়ার বিক্রির সংবাদ পেয়ে উপজেলাম
বিভিন্ন এলাকা থেকে পিয়াজ নিতে আসা শত শত নারী পুরুষ পিয়াজ না পেয়ে
বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরে যায়। বুধবার সকালে টিসিবির পিয়াজ, সয়াবিন
তেল, মশুর ডাল ও চিনি বিক্রি করা হয়।
টিসিবির পিয়াজ বিক্রির তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা
একটি বাড়ি একটি খামার ব্যাংকের ম্যানেজার মাজহারুল ইসলাম জানান,
পিয়াজ ছাড়া আরও দেওয়া হয় ৮০ টাকা লিটার (৫লিটারের বোতল) দরে ৬০০
লিটার সয়াবিন তেল, ৫০ টাকা কেজি দরে ৭০০ কেজি চিনি, ৫০ টাকা কেজি
দরে ৫০০ কেজি মুশুর ডাল। এক জন্য ব্যক্তিকে এসব মালামাল ৫ লিটার
তেল, ২ কেজি পিয়াজ, ৪ কেজি চিনি ও ৩ কেজি করে ডাল দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, সরকার টিসিবির মাধ্যমে
আজ প্রথম দামুড়হুদায় মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু
করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা চাহিদা
দিলে পরবর্তিতে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য উপর মহলে জানানো হবে। এছাড়া
পর্যায় ক্রমে প্রতিটা ইউনিয়নে টিসিবির পিয়াজসহ অন্যান্য মালামাল
বিক্রি করা হবে।
টিসিবির ডিলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের জ্বব্বার হোসেন জানান,
মালামাল দিতে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। যা সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে তার
চাইতে কয়েক গুন বেশী মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছে। ভোর থেকে লাইনে
দাড়িয়ে থেকে সাধারণ মানুষ যখন মাল না পাই। তখন বিভিন্ন কটু কথাও
শুনতে এসব মানুষের মুখে। সরবরাহ বাড়ানো দরকার। সরবরাহ কম থাকায়
অনেক সময় সাধারণ মানুষের রোষানলেও পরতে হয় আমাদের।