নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গায় মাদক ধরা নিয়ে কোন্দলের জের ধরে মিঠু (২৬) নামের এক যুবক রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে থানার হেফজতে রাখা হয়েছে। থানা হেফজতে রাখা ব্যক্তিরা হলেন ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের সাইদুরের ছেলে সবুজ (১৮), একই গ্রামের সুলতানের ছেলে রব (৬০) ও মোক্তারের ছেলে বিল্পভ (২০)। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দুজন ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যান। তাঁদের দেখে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের মুক্তারের ছেলে সুজন বলেন, ‘মামা একজন মাদক ব্যবসায়ী ধরেছি’ এই বলে একই গ্রামের আব্দুর মালেকের ছেলে মিঠুকে ঝাপটে ধরেন। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওই দুজন ব্যক্তি মিঠুকে ধরে দুইটি লাথি মেরে ছেড়ে দেন। পরে তাঁরা স্থান ত্যাগ করার পর ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের লাইনম্যান মুক্তারের ছেলে সুজন, মহর আলীর ছেলে মুক্তার ও মুক্তারের ছেলে বিপুল মিঠুকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। মিঠুর স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাঁর কোলে থাকা আড়ায় বছরের শিশু তাসমিরকে সুজন ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে সে তার কপালে আঘাত পায়। মিঠু দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীর রয়েছেন।
মিঠু জানান, বুধবারে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রাম থেকে ফেনসিডিল ধরে ডিবি পুলিশ। সুজনরা বলে, ‘আমি ধরিয়ে দিয়েছি। আমি সকালে ঘাস কাটতে মাঠে যাচ্ছিলাম, পথের মধ্যে সুজন আমাকে ঝাপটে ধরে ডিবি পুলিশের বলে, মামা মাদক ব্যবসায়ী ধরেছি। তারা আমার দুটি লাথি মেরে চলে যায়। পরে সুজনরা তিনজন মিলে বাঁশ দিয়ে আমার মাথায় মারে।
পিএসআই আজিজ জানান, ‘ঝাঁঝাডাঙ্গা মারামারির ব্যাপারে উভায় পক্ষের তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। চেয়ারম্যানসাহেব ফোন করেছে, সকালে মীমাংসার ব্যবস্থা হলে হবে।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, উভয়পক্ষে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।