নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদায় এক কিশোরি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ধর্ষক পরিতোষ হালদারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিশোরির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কিশোরি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করে। ধর্ষক পরিতোষ হালদার দামুড়হুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিত্য হালদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রায় দুই মাস আগে আলামিনের (হিন্দু ধর্র্র্মের ছেলে পরিতোষ হালদার) সাথে দামুড়হুদা উপজেলার উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ার এক কিশোরির সাথে মোবাইলফোনে পরিচয় হয়। সেসময় পরিতোষ হালদার তার পরিচয় গোপন করে মেয়েটির সাথে আলামিন নাম ব্যবহার করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। উভয়ের মধ্য মাঝে মাঝে মোবাইলফোনে কথাবার্তা হত। এরই সূত্র ধরে গত সোমবার রাতে পরিতোষ হালদার কিশোরিকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তার গ্রামে ডাকে। পরিতোষ তাকে দামুড়হুদা হঠাৎপাড়া কবরস্থানের পাশে একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে রাতে বসিয়ে রাখে। ওই কিশোরি তাকে বিয়ের কথা বললে সে বলে আগে শারিরীক সম্পর্ক হোক। কিশোরি শারিরীক সম্পর্কে রাজি না হলে রাতে প্রাণ নাশের ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাট ক্ষেতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে পরিতোষ হালদার কিশোরিকে মাঠের পাট ক্ষেতে রেখে গভির রাতে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে কিশোরি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানায় ও আলামিনের বর্ণনা দেন। গ্রামবাসী কিশোরিকে সাথে নিয়ে আলামিনের (পরিতোষ হালদারের) বাড়ি যায় এবং তাকে সনাক্ত করে। জানতে পারে সে হিন্দু ধর্মের ছেলে। এসময় কৌশলে পরিতোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দামুড়হুদা থানা পুলিশ কিশোরিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। মঙ্গলবার রাতে কিশোরি বাদী হয়ে একজনকে আসামী করে দামুড়হুদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতে দামুড়হুদা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিতোষ হালদারকে গ্রেফতার করে। গতকাল বুধবার দুপুরে পরিতোষকে আমলী দামুড়হুদা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর কিশোরির ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।