নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ওমিদুলের লাশ চারদিন পর দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকাল ৫টায় দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আইসিপি চেকপোস্ট সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গুলিবিদ্ধ ওমিদুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি জানায়, রোববার ভোরে দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ওমিদুল গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়।
এসময় ভারতীয় নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানার রাঙ্গিয়াপোতা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ ওমিদুলের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
এরপর হত্যা ঘটনার চারদিন পর বুধবার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠককের মাধ্যমে লাশ ফেরত আনা হয়। পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির উপ-অধিনায়ক আহমেদ ও ফেরদৌস, বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল বারেক, দর্শনা থানার এসআই শরিফুল ইসলাম, ভারতের নদীয়া জেলার গেদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার শ্রী নগেন্দ্রনাথ। এছাড়া ভারতের কৃষ্ণনগর থানা-পুলিশ, কাষ্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাগণ লাশ হতান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার চোরাচালানের গডফাদার ঠাকুরপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্বাস আলীর ছেলে তাজমুল হক ১৫-২০ কামলা নিয়ে গরুর চালান আনতে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরের হুদাপাড়ায় প্রবেশ করে।
ওইদিন ভোরের দিকে গরু নিয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশের ফিরে আসলেও ভারতীয় সীমান্তের হুদাপাড়া-রাঙ্গিয়ারপোতা ক্যাম্পের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে ঠাকুরপুর গ্রামের শেষেরপাড়ার পাখিভ্যানচালক শহিদুল ইসলামের ছোট ছেলে ওমিদুল ইসলাম নামের চোরাকারবারী নিহত হয়।