মেহেরপুরে আপোষ-মিমাংসার টাকা না পেয়ে আদালতে মামলার ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:প্রতিবেশির সজনে গাছের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কামরুলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে রাজনগর মল্লিকপাড়া কবরস্থান থেকে কামরুলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, গত বছরের ৪ঠা এপ্রিল প্রতিবেশী শামসুল কশাইয়ের স্ত্রী হাসিনা খাতুন তার সজনে গাছের ডাঁটাপাড়ার জন্য কামরুলকে গাছে তুলে দেয়। ডাল কাটতে গিয়ে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তারের উপর ডাল পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কামরুল। নিহত কামরুলের পরিবারের লোকজন হত্যার আপত্তি তুললে সামাজিকভাবে আপোষ মীমাংসা মামলা না করার শর্তে দেড় লাখ টাকা দিতে রাজি হয় শামসুল কশাই। তাৎক্ষনিক নগদ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দশ দিনের সময় নিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে থানায় অবহিত করে ময়না তদন্ত ছাড়াই গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তীতে শামসুল কশাই বাকী টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকলে নিহত কামরুলের পিতা আজিবার বাদী হয়ে মেহেরপুর জেলা আদালতে শামসুল কশাইয়ের ছেলে হাবিল, শামসুল কশাই ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর জেলার সিআইডি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হাসান ইমাম বলেন, ‘প্রতিবেশীর গাছের সজনের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কামরুলের মামলা সিআইডির কাছে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল দেখেন লাশের ময়না তদন্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশে মামলা তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলন করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
এ সময় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী ও এএসআই কামরুল উপস্থিত ছিলেন। নিহত কামরুল মেহেরপুর সদরের রাজনগর বেলেপাড়ার দিনমজুর আজিবারের বড় ছেলে।