নিউজ ডেস্ক:দর্শনায় ব্যাপক হারে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। গত এক মাসের ব্যবধানে প্রায় দর্শনা পৌর এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়িতে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। ৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় প্রতি রাতেই কোনো না কোনো বাড়িতে ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে।
গত এক মাসের চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দর্শনা আজমপুরের সলেমানের বাড়িতে ১টি মোবাইল ফোনসহ নগদ ৪ হাজার টাকা, মোহাম্মদপুর মসজিদের ফ্যান, মহিদুল ইসলামে মোবাইল ফোন, গোলাম রহমানের বাড়ি থেকে ১টি মোবাইল ফোন, দর্শনা কলেজপাড়ার দোস মোহাম্মদের ছেলে মিলনের বাড়ি থেকে নগদ ৬ হাজার টাকা, আজমপুর আব্দুল জলিলের বাড়ি থেকে ২ জোড়া কানের দুল ও নগদ ১ হাজার টাকা, দর্শনা কলেজপাড়ার আব্দুর রব মুন্সির বাড়ি থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ হাজার টাকা, আমিনুল ইসলামের বাড়ি থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৯ শ টাকা, দর্শনা কলেজপাড়ার নুর আলী প্রফেসরের ছেলে নাজমুল হুদার বাড়ি থেকে ১টি মোবাইল ফোন, জুয়েল মাস্টারের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা, দর্শনা শ্যামপুর পাইপঘাটপাড়া খালিদ হোসেনের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ ২ হাজার টাকা এবং বটতলাপাড়ার ৩-৪টি বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে।
এ ছাড়া দর্শনা পরানপুর সড়কে সাবেক কাউন্সিলর লুৎফর রহমানের বাড়ির নিকট ও জোড়া বটতলায় ঢাকা থেকে আসা নাইট কোচে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।
এ প্রসঙ্গে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা সেলিম বলেন, লোকবলের অভাবে ঠিকমতো টহল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।