নিউজ ডেস্ক:দর্শনায় একুশে নাট্যমেলাকে ঘিরে চলছে দেওয়াল লেখনি ও সাজসজ্জার কাজ। সাদির রং তুলির ছোঁয়াই দিনে দিনে রঙ্গিন হয়ে উঠছে মেলা চত্বরের দেওয়ালগুলো। শোভা পাচ্ছে নানা রং এর আল্পনায় এবং ধীরে ধীরে রঙ্গিন সাজে সেজে উঠছে দর্শনা ডাকবাংলো আশেপাশের এলাকা। ‘বুক জুড়ে স্বাধীনতা হও’ শ্লোগানকে ধারণ করে দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার আগামী ১৫ থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ৭ দিনব্যাপী দর্শনা ডাকবাংলো চত্বরে একুশে নাট্য মেলার আয়োজন করছে। দুই বাংলার নাট্যকর্মীদের পদচারণায় মুখোরিত হবে দর্শনার নাট্যাঙ্গন। দর্শনীর বিনিময়ে একুশে নাট্য মেলায় এবার থাকছে দুই বাংলার ঢাকা, কলকাতা ও মফস্বল শহরের নাট্যকর্মীদের নাটক। কলকাতার নাটক বিনোদনী ও শ্বাসকষ্ট এবং ঢাকার নাটক কুন্জুস ও কোটমার্শাল। এছাড়া মফস্বল শহরের নাটক দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের হিং টিং ছট্, যশোর বিবর্তণ থিয়েটারের নাটক মাৎ ব্রিং ও চুয়াডাঙ্গা অরিন্দম থিয়েটারের নাটক ক্ষুদিরামের কথা। এছাড়া একুশে নাট্য মেলায় ঢাকা ছায়নট ও রবীন্দ্র ভারতের রবীন্দ্র সংগীত থাকছে। একুশে নাট্য মেলায় নাটকের পাশাপাশি প্রতিদিন বিকালে খোলা মঞ্চে থাকছে এ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের নাটিকা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের দেশের মাটি পেরিয়ে মাতৃভাষা এখন বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে গেছে। এ মাতৃভাষার মাসকে ঘিরে দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার প্রতি বছর একুশে নাট্য মেলার আয়োজন করে আসছে। এছাড়া থাকছে ছোট ছোট শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও বর্ণ লিখন প্রতিযোগীতা এবং শিশু বর্ণ বানান। ইতোমধ্যে দর্শনা শহরের বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দেওয়াল লেখনি শোভা পাচ্ছে। অনির্বাণ থিয়েটার কর্মীরা প্রচার প্রচারনায় নাটকের প্রস্তুতি নাট্যমেলা আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।