নিউজ ডেস্ক:
দর্শনায় ঈদের পরদিন থেকে পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে পক্ষ-বিপক্ষের আতর্কিত হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে দেশিয় অস্ত্রের মহড়াও দেখা গেছে। এতে করে আতঙ্কিত দর্শনা পৌরবাসী। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়েও চায়ের দোকানে স্থানীয়রা বিভিন্ন গুঞ্জনে মেতেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাত আনুমানিক সোয়া আটটার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার চটকাতলা পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে তারেক ও মোবারকপাড়ার আবুয়ার ছেলে রাব্বি পূর্ব শত্রুতার নিরসনের লক্ষে কেরুজ বাজার মাঠে কৌশলে ডাকেন দর্শনা হঠাৎপাড়ার কালামের ছেলে মুন্না। মুন্নার ডাকে সাড়া দিয়ে তারেক বাজার মাঠ প্রাঙ্গণে এলে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা রাব্বির দলের ৩০-৩৫ জন আতর্কিত হামলা চালান তারেকের ওপর। এ সময় তারেক ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করার সময় মনে করেন তারেক মৃত্যুবরণ করেছেন। পরে মৃত্যুর গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে তারেক গ্রুপের ২০-২৫ জন দর্শনা ফুলতলায় রাব্বি গ্রুপের মুন্নার ওপর আতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে মুন্না গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার খবর পেয়ে রাব্বি গ্রুপের সঙ্গবদ্ধ একটি দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাজার মাঠ প্রাঙ্গনে মহড়া দিতে থাকে। এ সময় দর্শনা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সঙ্গবদ্ধ দলটি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, রেলবন্দরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ ধরনের অস্ত্রের মহড়া চলছে।
এদিকে, একই দিনে তিতুদহ গড়াইটুপি থেকে দর্শনা কেরুজ কুলিলাইন পাড়ায় ফজলুল হকের বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসা রকি নামের এক ব্যক্তি প্রাইভেটকার পার্কিং করা নিয়ে স্থানীয় শাহিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ধারালো অস্ত্রের কোপে রকি রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। রকিকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তাঁর একটি হাতে ১৫টি সেলাই হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কেরু এলাকা উত্তেজনার সৃষ্টি হলে উভয়পক্ষকে দর্শনা থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিলে দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বিষয়টি দলীয়ভাবে সমাধান করা হবে বলে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘দফায় দফায় সংঘর্ষ ও দেশিয় অস্ত্রের মহড়া বিষয়ে আমার জানা নেই এবং এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগও আসেনি। তবে গড়াইটুপি থেকে দাওয়াত খেতে আসা রকি নামের একটি ছেলে গাড়ি পার্কিং নিয়ে মারামারির ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে মেয়র সাহেব দলীয় কার্যালয়ে সমাধান করবেন বলে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।’