২১ দিন পর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন!
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা মাইক্রোস্ট্যান্ডের মোটরসাইকেল মিস্ত্রী কুড়ালগাছি গ্রামের জাকির হোসেনের (৩২) লাশ ২১ দিন পর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়ালগাছি কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রাতে দামুড়হুদার কুড়ালগাছি গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে দর্শনা মোহাম্মদপুরের ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল মিস্ত্রি জাকির হোসেনের লাশ তার বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। সকালে জাকিরের স্ত্রী ববিতা খাতুন বর্ষা তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তখন জাকিরের স্ত্রী ববিতা খাতুন বর্ষা তার স্বামী জাকির ষ্ট্রোক করে মারা গেছে বলে প্রচার করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলায় জাকিরের স্ত্রী ববিতাকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।এর একদিন পর রবিবার জাকিরের পিতা লাল মোহাম্মদ বাদি হয়ে দামুড়হুদা আমলী আদালতে জাকিরের স্ত্রী ববিতা খাতুন বর্ষা ও শাশুড়ীসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর ২১ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ফকরুল ইসলামের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা আইসির ইন্সপেক্টর ইউনুছ আলী, কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির পুলিশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে জাকির হোসেনের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামিম কবির, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. তারিক হাসান ও মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুড়ুলগাছি কবরস্থানে ডিএসবির সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনসাধারণদের উপস্থিতিতে পুনরায় দাফন সম্পন্ন হয়।