নিউজ ডেস্ক: দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট সীমান্ত পথে ভারতে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৩ যুবক ভারতে যাওয়ার জন্য দামুড়হুদা জয়নগর সীমান্তের চেকপোস্টে আসে এবং ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে যাওয়ার সময় আরও ২ জন আসে ইমিগ্রেশনের কাজে। এসময় ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের কাছে নাম পরিচয় জানতে চাইলে তারা কিছুই বলতে না পারায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ৫ জনকে আটক করে। জব্দ করা পাসপোর্টে তারা নিজেদের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সাকার (২৪) (পাসপোর্ট নং বিটি-০৫৯৯০৪৮), মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার আডিয়াল বাজার গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সাদেক (১৮) (পাসপোর্ট নং বিটি-০৬০৯৮৮০), একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আয়াল (২৫) (পাসপোর্ট নং বিটি-০৬০৯৭৭১), একই জেলার টঙ্গিবাড়ি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আমিন (২৫) (পাসপোর্ট নং বিটি-০৫৩৪৬৯২) ও ফেনী জেলার দাগনভূইয়া উপজেলার সামাসপুর গ্রামের হারুনের ছেলে হারেশ (২৯) (পাসপোর্ট নং বিআর-০১৮১০০৩২) বলে পরিচয় দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের প্রকৃত পরিচয় বেরিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলো প্রকৃতভাবে- কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের জালাল উদ্দীনের ছেলে আইয়াজ আলী (২০) ও সাদেক আলী (২০), বালুখালী শরনার্থী ক্যাম্পের নুর সালামের ছেলে সাকের আলী (২৪), জামতলী শরনার্থী ক্যাম্পের হারুন আলীর ছেলে হারেস আলী (২৪) এবং চেংখালী শরনার্থী ক্যাম্পের নুর ইসলামের ছেলে আমিন উদ্দীন (২১)।
এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার আব্দুল আলিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, আটক ৫ যুবক কুতুপালং, চেংখালী, বালুখালী ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরনার্থী বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য দিয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে কুমিল্লা থেকে পাসপোর্ট করেছে ও চট্রগ্রাম ভিসা অফিস থেকে ভিসা করিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।