পুলিশ বলছে হেরোইন নয়; ধূপ!
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দর্শনা জয়নগর থেকে পাঁচ প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার ও উদ্ধারকৃত হেরোইন পুলিশী পরীক্ষায় ধূপ বলে জানা গেছে এবং এ ঘটনায় সন্দিগ্ধ আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী সামারুলকে আটক করেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ভিন্ন মত রয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায় গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজিব আহম্মেদ, এসআই মেজবাহুর রহমান, এসআই মিল্টন ও সামছু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনার সীমান্তবর্তী জয়নগর গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। ওই অভিযানিক দলটি গ্রামের মসজিদ পাড়ার আবর আলীর ঘরজামাই সামারুলকে তার বাড়ি থেকে আটক করে এবং আটককৃত’র স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার ঘরের পেছনে ভিত কাটা মাটিতে পুতে রাখা স্থান থেকে ৫ টি হেরোইন ভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করে। পরে পুলিশ সামারুলকে ছেড়ে দিয়ে উদ্ধারকৃত হেরোইন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে সূত্রটি জানায়। এ নিয়ে রয়েছে অভিযানিক পুলিশ দলের ভিন্ন বক্তব্য। তবে আটক করেও সামারুলকে ছেড়ে দেওয়ায় দুষ্টু লোকের নানা মিষ্ট কথা রয়েছে। সামারুল মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত এমন তথ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সন্দিগ্ধ সামারুল বলেন, আমাকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ধরিয়ে দিতে চাচ্ছিলো এলাকার বেশ কয়েকজন। তবে পুলিশ বুঝতে পারে এটি ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। তাই পুলিশ আমাকে নিজের ভাই মনে করে ছেড়ে দিয়ে যায়। সামারুলের কাছে মাল কতটুকু ছিলো এমন প্রশ্নে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই মেজবাহুর রহমান বলেন, ৩শ/সাড়ে ৩শ গ্রাম হেরোইন ও ২৫ বোতল ফেনসিডিল আছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জয়নগর গ্রামের সামারুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগানের ভিতরে বাঁশের শুকনো পাতা দিয়ে ঢাকা ৩ প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করি এবং কোন ফেনসিডিল পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত হেরোইন পরদিন সকালে থানায় পরিক্ষা করে দেখা যায় এটি হেরোইন না ভারতীয় ধুপ।
এসআই মিল্টন বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি জয়নগর গ্রামের একটি বাড়িতে ২/৩শ গ্রাম হেরোইন ও ২/৩ বস্তা ফেনসিডিল আছে সংবাদের ভিত্তিতে সামারুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির পিছনে পাতার নিচ হতে ৩ প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করি। তবে কোন ফেনসিডিল পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত হেরোইন ব্রাউন সুগারের মত দেখতে সেগুলো পরিক্ষা করে দেখা যায় আসলে সেটি হেরোইন নয়।
দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি জয়ননগর গ্রামের সামারুলের বাড়িতে হেরোইন ও ৪/৫ বস্তা ফেনসিডিল আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে থানার একটি টিম সেখানে পাঠাই। এরপর বাড়ির পার্শ্বের বাঁশ বাগানের ভীতর থেকে ৩ প্যাকেট হেরোইন জাতীয় পদার্থ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পদার্থ আমরা পরিক্ষা করে দেখেছি সেটি হেরোইন নয় ধুপের গুড়া। তিনি আরও জানান, তথ্য দেওয়া ব্যাক্তিকে ধরতে একটি টিম মাঠে নেমেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।