নির্বাচনের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে; শ্রম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বাধা
নিউজ ডেস্ক: দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের ৫দিন পেরিয়ে গেলেও আজ অবদি সাধারণ সভা ডাকছে না বর্তমান পরিষদ। ফলে সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করেছে। এদিকে, বিরোধী শ্রমিক নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না জানা যাবে। তাছাড়া ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতিটি মাড়াই মৌসুমে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন হয়ে আসছে। সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার উৎপাদন ব্যহত হয়নি, এখন কেন ব্যহত হবে। এছাড়া আমাদের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নীতিমালায় আছে নির্বাচিত কমিটির ২ বছর মেয়াদ পূর্ণ হলেই নির্বাচন করতে হবে। দেশে যদি কোন জরুরী অবস্থা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন সাময়িক পেছাতে পারে।
এছাড়া তারা আরও বলেন, যে কোন আন্দোলন সংগ্রাম ও চাঁদা নেওয়ার সময় ইউনিয়নে আমাদের ডেকে সিন্ধান্ত নেয়। কিন্তু নির্বাচন বন্ধ হওয়ার বিষয় তো আমাদের একবারও ডাকা হলো না। আসলে ক্ষমতাসীন দল এ নির্বাচনকে বন্ধ রাখতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। গত ২১ জানুয়ারী-২০১৭ সালে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলে চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় সাধারণ সভার আয়োজন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের চিঠি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেছে। এ বছর নির্বাচন হবে না। এত করে কি বোঝা যায়। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচনের দাবিতে ৫শ’ শ্রমিকের সাক্ষর করে ইউনিয়নে জমা দিয়েছি। সাধারণ শ্রমিকরা নির্বাচন চাই। এছাড়া ১৯৪ ধারা অনুযায়ী মালিক পক্ষ নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলেও ওই শ্রমিক নেতারা জানান।
এদিকে সাধারণ সভা ও নির্বাচন না হওয়ার করণ জানতে চাইলে বর্তমান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী জানান, চিফ অব পার্সোনেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবুল রফিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহাপরিচালক শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের দপ্তরের স্বারক নং ৪০,০২,০০০০,০৩৪,৪৭.০১১,৭৮,৭৫৪ তারিখ ২০/১২/২০১৮ এর মাধ্যমে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন অব্যাহত রাখার লক্ষে চিনিকলসমুহ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের আখ মাড়াই মৌসুম পর্যন্ত চিনিকলসমুহের রেজিষ্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়নগুলোর কার্যকরী কমিটির নির্বাচন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যেতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার মিল/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী শ্রমিকদের সকল প্রকার সভা সমাবেশ আয়োজন বিরতসহ মাড়াই মৌসুমের উৎপাদনের স্বার্থে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ প্রদান করেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ পত্র গত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ কেরু চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচলক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এ কারণে নির্বাচন সাময়িক বন্ধ আছে। পরবর্তী নির্দেশ পেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমারও নির্বাচন চাই। শ্রমিক কর্মচারীদের নির্বাচন চাওয়ার সাথে আমরাও একমত পোষন করছি।