নিউজ ডেস্ক:
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, তিস্তা নদীর পানি বন্টনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চুক্তির ব্যাপারে ভারতের লাখ লাখ মানুষের কোনো আপত্তি নেই এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, তারা বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তিস্তায় তার ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা চুক্তিতে ভারতের জনগণের কোনো আপত্তি নেই। আপনারা গণমাধ্যমে দেখতে পারেন ভারতে অনেক সচেতন ব্যক্তি রয়েছেন যারা অন্যান্য মানবাধিকারের মতো পানির এই অধিকারেও বিশ্বাস করেন। আমি বিশ্বাস করি সেখানকার লাখ লাখ মানুষ মনে করে বাংলাদেশ পানি বন্টন ইস্যুতে তার অধিকার পাচ্ছে না। ’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান প্রক্রিয়ায় দ্রুতই চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (সাবেক) ও নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই বলে গেছেন এই সমস্যার সমাধান হবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল অক্সফাম বাংলাদেশের ‘ট্রান্স-বাউন্ডারী রিভারস ফর আওয়ার সাসটেইনেবল অ্যাডভান্সমেন্ট (টিআরওএসএ)’ শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদী এক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
অক্সফাম ইন্টারনেশন্যাল-ইন্টারনেশন্যাল ইউনিয়ন অব কনজার্ভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর কজার্ভেশন অব নেচার (ডাব্লিউডাব্লিউএফ), স্টকহোম ইন্টারনেশন্যাল ওয়াটার ইনস্টিটিউট (এসআইডাব্লিউআই) ও ইন্টারনেশন্যাল রিভার্স-এর অংশিদারিত্বে সুইডিশ ইন্টারনেশন্যাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (সিডা)-এর আর্থিক সহায়তায় ভারত- নেপাল-বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়িত হবে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকায়।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে এই বিশাল পানি সম্পদের ব্যবহার এবং এর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নদী অববাহিকার দুস্থ মানুষগুলোর দারিদ্র্য হ্রাস করা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল, আইইউসিএন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশিতাক উদ্দিন আহমদ, নদী প্রকল্পের জাতীয় কমিশনের সদস্য শার্মীন মুর্শিদ, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড এনভাইরনমেন্টাল ইকোনোমিক্স (এসএএনডিইই)-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক ও ওয়াটার গভর্নেস অব অক্সফাম বাংলাদেশ-এর প্রকল্প সমন্বয়ক এনামুল মজিদ খান সিদ্দিক।