নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর-কালীগঞ্জ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি। গত রোববার থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির বাস নিয়মিত চুয়াডাঙ্গা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত চলাচল করে থাকে। অপর দিকে কালীগঞ্জ ও যশোর মালিক সমিতির বাস যশোর থেকে ছেড়ে এসে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে। উভয়পক্ষের মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় যশোর ও কালীগঞ্জ বাস মালিক সমিতির বাস হাসাদাহ পর্যন্ত চলাচল করছে। তিন জেলার মোটর মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। কয়েক বছর আগেও ঠিক এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন সমস্যার সমাধান হতে দীর্ঘ সময় লাগে। আবারও মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হওয়াতে যাত্রীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দীন মুক্তা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারকে সৃষ্ট সংকট সম্পর্কে অবহিত করেছেন। একই সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১০ বছর আগে থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে আলমডাঙ্গা রুটে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির ১০টি ট্রিপ চলাচল করত। কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির আর কোনো বাস ওই সড়কে চলাচল করে না। গত ১০ অক্টোবর কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে একটি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে বাস চলাচলের জন্য কালীগঞ্জ মালিক সমিতি নির্দিষ্ট দুই ঘণ্টা সময় দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করে। ওই প্রস্তাবের আলোকে চুয়াডাঙ্গা মোটর মালিক সমিতি ১৫ দিনের সময় চেয়ে নেয়। একপর্যায়ে কালীগঞ্জের গাড়িগুলো আলমডাঙ্গায় হল্ট করার ফলে কুষ্টিয়াগামী যাত্রীদের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তাদের চাহিদা মতো নির্দিষ্ট দুই ঘণ্টা সময় দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে চুয়াডাঙ্গা মোটর মালিক সমিতি। এরপর চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই গত রোববার সকাল থেকে কালীগঞ্জ মালিক সমিতি হাসাদহ পর্যন্ত বাস চলাচল শুরু করে।
একেএম মঈন উদ্দীন মুক্তা জানান, চুয়াডাঙ্গা-যশোর রুটে সরাসরি যেন বাস চলাচল করতে পারে, সে জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর রুটে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৪০টি বাস চলাচল করে। এর মধ্যে খুলনা রুটের বাসও রয়েছে। ২০১৩ সালে একই রুটে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির বাধার মুখে ২০ মাস ১১ দিন সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ওই সময়েও হাসাদহ পর্যন্ত বাস চলাচল করত।