আলমডাঙ্গায় রেলওয়ের জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান ও বসতবাড়ি নির্মাণ
পাকশী জোনের রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ঘটনাস্থল পরিদর্শন
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার পৌর এলাকার রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ দোকান ও বসতবাড়ি নির্মাণ চলছে হরহামেশাই। এসব নির্মাণাধীন দোকান ও বসতবাড়ি উচ্ছেদের বিষয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন পাকশী জোনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি এসব স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আলমডাঙ্গার লালব্রিজের নিচে নবনির্মিত দোকানঘর সোমবার বিকেল চারটার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার লালব্রিজ ও রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে অবৈধভাবে প্রায় কয়েক শ দোকানঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এসব দোকান নির্মাণের কারণে রেললাইনে চলাচলরত ট্রেন ব্যাপকভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী জোনের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তিকে স্থান চিহ্নিত করে সরকারিভাবে বিভিন্ন মেয়াদে লিজ প্রদান করা হয়। ইতিমধ্যে আলমডাঙ্গার লালব্রিজের নিচের কিছু অংশ কেটে দোকান নির্মাণ করেছেন কালিদাসপুর গ্রামের কায়েস, রফিজুল ও এলাহী। এ ছাড়াও হালিম জনসেবা নামের হারবাল সেন্টার, জামাল মুদি দোকান ও জিয়াউর রহমান ক্রোকারিজের দোকান নির্মাণ করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব দোকানের কারণে চলাচলরত ট্রেন ব্যাপক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পাকশী জোনের রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়ার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সোমবার বিকাল চারটার মধ্যে নির্মাণাধীন দোকানঘর উচ্ছেদ না করলে আজ মঙ্গলবার বুলড্রোজার দিয়ে সব দোকান উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে পাকশী জোনের রেল বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়ার রহমান জানান, ‘সোমবার বিকেল চারটার মধ্যে রেলেলাইনের নিচে নির্মাণ করা দোকান ভেঙে না নিলে মঙ্গলবার আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব। এ ছাড়াও পর্যায়ক্রমে আলমডাঙ্গা রেল বিভাগের যেসব জমিতে অবৈধভাবে দোকান ও বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেল বিভাগের আওতায় আনা হবে।’