হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার মৃত আমির আলীর পুত্র মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রকাশ সাইফুল নামের যুবক মিয়ানমার মন্ডু শহরের নোয়াপাড়া এলাকার আবদুল হাজীর মেয়ে ৩ সন্তানের জননী ইসমত আরা স্বামীর বর্তমান বাড়ী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া থেকে বিপুল পরিমান স্বর্ণ ও মোটা অংকের টাকা নিয়ে গত ১১ নভেম্বর উধাও হয়ে গেছে।
সুত্রে জানা যায়, মিয়ানমার মন্ডু শহরের নোয়াপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হোছিনের ছেলে হামিদ হোছিন এর সাথে দীর্ঘ ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহ ২ বছর পরে সৌদিয়াআরব পাড়ি জমান এর পর থেকে বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে লম্পট ইলিয়াছ প্রকাশ সাইফুলের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় পর ইয়াবা ব্যবসা। ইয়াবা ব্যবসা থেকে ৩ সন্তানের জননীকে নিয়ে অজনার পথে পাড়ি জমান। লম্পট ইলিয়াছ প্রকাশ প্রকাশ সাইফুলের বাড়ি হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল পাড়া এলাকার বর্তমান বাড়ি কক্সবাজার আলী জাহান এলাকায়। ৩ সন্তানের জননীকে নিয়ে কক্সবাজার এক সাপ্তাহ ধরে হোটেলে থাকার পরে মেয়ের বাবা আবদুল হাজি, মাতা আবেদা বেগম, ছেলে তারেক, ইউসুফ মিলে স্বামী হামিদ হোছিনের বিপুল পরিমান স্বর্ণ ও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার স্ত্রীকে ইলিয়াছের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানান আবদুল হোছিন। তার শাশুড়বাড়ি সহ আত্বীয় স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে টেকনাফের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ত্রী ও স্ত্রীর বাবা মা দুই ভাইয়ের জন্যে বিচার চেয়ে যাচ্ছেন।
হামিদ হোছিন জানান, মিয়ানমার থেকে আমার বাড়ির সব কিছু নিয়ে এই দেশে নিয়ে আসে শাশুর আবদুল হাজি শাশুড়ী আবেদা বেগম, তার স্ত্রী। বাংলাদেশের আসার পরে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক শুরু করে। প্রায় সময় ইলিয়াছ প্রকাশ সাইফুল সাথে আমার বাড়িতে দেখি। পরে তার সাথে কক্সবাজার হোটেলে যায়। বর্তমানে ইলিয়াছ আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এব্যাপরে অভিযোক্ত ইলিয়াছের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।