জিয়াবুল হক, টেকনাফ: টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বেড়ে গেছে ডাকাত আতংক, তারা এতদিন ডাকাতি প্রবণ এলাকা রাস্তা দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নির্বিগ্নে চলাফেরা করলেও হঠাৎ করে এই বছরের শেষ মাসে ডাকাত দল ঐ সব এলাকাতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে দূর্ধর্ষ ডাকাতি করার ফলে এই এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে বেড়েছে ডাকাত আতংক।
গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধা সাড়ে ছয়টার সময় টেকনাফ হোয়াইক্যং ঢালার ভিতর হয় দূর্ধর্ষ ডাকাতি। ভোক্তভোগীরা জানান ঐ দিন হঠাৎ একদল ডাকাত দল প্রথমে ডাকাতি করা দুইটি সি,এন,জি গাড়ি রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত বার থেকে পনেরটি গাড়ি ডাকাতি করে ঐ ডাকাত দল। এই সময় অনেক মানুষের মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণলংকার, মোবাইল, টাকা পয়সা সহ সব কিছু কেড়ে নেয় ডাকাত দল।
পরে ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় টেকনাফ বাহারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢালার ভিতর ডাকাতি হওয়া স্থানে অভিযানে গেলে তখন ফাঁড়ির সামনে ডাকাত দলের থাকা গোপ্তচরের বিশেষ ফোনে হঠাৎ ডাকাত দল পাহাড়ের ভিতর পালিয়ে যায় বলে ভোক্তভোগীরা জানান।
হোয়াইক্যং ঢালার রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে। পুলিশ পাহারা ছাড়া সহজে কেউ যাচ্ছেনা এই রাস্তা দিয়ে। অন্যদিকে তার কিছু দিনপর টেকনাফ কক্সবাজার মহাসড়কে রাস্তায় নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলে একদল ডাকাত হ্নীলা নামক স্থানে দূর্ধর্ষ ডাকাতি করে, এই সময় ডাকাতদল পর্যটকবাহী বাস সহ দশ থেকে পনেরটি গাড়ি ডাকাতি করে, এসময় ডাকাতের খপ্পরে পড়া পর্যটক সহ স্থানীয় যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নেয় ডাকাতদল, তখন বিক্ষুদ্ধ জনতা ও মটর শ্রমকিরা প্রায় তিন ঘন্টা এই ডাকাতির প্রতিবাদে মহসড়ক অবরোধ করে রাখে।
তারপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ডাকাতদের গ্রেফতার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে শান্ত করে। অন্যদিকে সারা বছর এই এলাকা দিয়ে নির্বিগ্নে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করলেও, হঠাৎ এই দূর্ধর্ষ ডাকাতির কারনে রীতিমত আতংকে সাধারণ মানুষ। এর কারণ হিসেবে উপকূলীয় সচেতন মহল মনে করেন উখিয়া টেকনাফে হঠাৎ জনসংখ্যার চাপ, এবং স্থানীয় নাম করা কয়েকজন ডাকাত দলের সর্দার জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে, মুলত তাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাকাত দলের সদস্য সংগ্রহ করে তারা নতুন ভাবে ডাকাতি করে যাচ্ছে।
তার জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই তৎপর হতে হবে, ডাকাতরা নিরাপত্তার জন্য ফোনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে, তাই প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে এসব ডাকাতদের ধরা অনেকটা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাঈন উদ্দীন খান বলেন. টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি জায়গায় যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক, আর এই ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সদস্যদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি আমরা শ্রীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।