জিয়াবুল হক, টেকনাফ: টেকনাফে ২ বিজিবি সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৪ লক্ষ ৬০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করেছে। সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া লাফারঘোনার এলাকা থেকে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকা থেকে ৯০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৩০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পৃথক অভিযানেই ইয়াবা চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান সাবরাং ইউনিয়নের লাফারঘোনার নাফনদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপির হাবিলদার মো. মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল গতকাল ৩০ জুলাই ভোররাত ৩টায় দ্রুত বর্ণিত স্থানে বিজিবি সদস্যরা গোপনে অবস্থান করে। টিক ৪টায় ৪/৫ জন লোককে ৪টি বস্তা মাথায় করে নাফনদী দিয়ে আসতে দেখে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। আকস্মিক বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় টহলদল তাদের পিছু ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের মাথায় থাকা বস্তাগুলো ফেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়। এর পর টহলদল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া বস্তাগুলো তল্লাশী করে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে হ্নীলা বিওপির সুবেদার মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল গত ২৯ জুলাই গভীর রাতে খারাংখালি লবন মাঠ এলাকায় দিয়ে ইয়াবা আসার গোপন সংবাদ পেয়ে এক পাশে অবস্থিত গাছের আড়ালে অবস্থান নেয়। এসময় ৩/৪ জন লোককে একটি ব্যাগ হাতে করে মাঠ দিয়ে আসতে দেখে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারী তার হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কর্দমাক্ত মাঠ দিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়। এরপর টহলদল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া ব্যাগটি তল্লাশী করে ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার থেকে মরন নেশা ইয়াবা আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ বিজিবি সদস্যদের উদ্ধার হল ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ইয়াবা। যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।